পরিচয়ে অস্পষ্টতা থাকায় দেশছাড়া এক আফগান নাগরিককে কাবুলে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া দরকার- এমন ব্যক্তিদের তালিকায় ফেরত পাঠানো ওই ব্যক্তির নাম ছিল না বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ। অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তি দেশছাড়া আফগানদের বিশাল একটি দলের সঙ্গে প্রথমে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ নামেন। সেখান থেকে সিউলগামীদের চেকিংয়ের সময় তিনি কর্মকর্তাদের নজরে পড়েন বলে জানিয়েছে বিবিসি। “একটি সামরিক উড়োজাহাজে তাকে কাবুলে ফেরত পাঠানো হয় এবং পরে পরিচয় শনাক্তের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে থাকা মার্কিন সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়,” বলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ‘ভুলের’ কারণ জানতে চাওয়া হলে কর্মকর্তারা আফগানিস্তানের ‘বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে’ দায় দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইয়োনহাপ। স্বাস্থ্যকর্মী, কারিগরি প্রশিক্ষক, কোরীয় দূতাবাসে দোভাষীর কাজ করা ব্যক্তিসহ সব মিলিয়ে ৩৯০ আফগানকে দক্ষিণ কোরিয়া তাদের দেশে নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সিউলের ইনচিওন বিমানবন্দরে নামা আফগান শিশুদের টেডি বিয়ার দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে বলে টুইটারে জানিয়েছেন সাংবাদিক রাফায়েল রশীদ। দক্ষিণ কোরিয়ায় নামা এ আফগানদের শরণার্থী না বলে ‘বিশেষ যোগ্যতাধারী ব্যক্তি’ ডাকা হচ্ছে। তাদেরকে স্বল্পকালীন ভিসাও দেওয়া হয়েছে। দেশছাড়া এ আফগানদের কোয়ারেন্টিনে রাখার স্থানের বাইরে লাগানো ব্যানারেও লেখা রয়েছে, “কোরিয়ায় স্বাগতম, আমরা তোমাদের ভালোবাসি।”