সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে বাকশালের মতো একটি অভিন্ন আদর্শের পতাকাতলে জাতীয় সংস্কারবাদী কর্মসূচিতে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। তাই বাকশালকে দলীয় বাতাবরণে আবদ্ধ না করে একটি অভিন্ন আদর্শ কর্মসূচি হিসেবে গণ্য করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমন কতিপয় গৌরবোজ্জ্বল ব্যক্তির জন্ম হয়েছে যাদের নিয়ে বাঙালিরা বরাবরই অহঙ্কার করতে পারে এবং যাদের মধ্যে তারা চিরদিন খুঁজে পাবে অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। জ্ঞানবিজ্ঞান, সাহিত্য, শিল্প, রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্মকর্ম, স্বদেশপ্রেম, দেশকে স্বাধীন করার জন্য বীরের মতো আত্মাহুতি দান প্রভৃতি বিবিধ ক্ষেত্রে যেসব শ্রেষ্ঠ বাঙালির কথা আমাদের সহজেই মনে পড়ে- তাদের মধ্যে রয়েছেন অতীশ দীপঙ্কর, চন্ডীদাস, লালন শাহ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায়, শ্রী চৈতন্যদেব, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, তিতুমীর, সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, পন্ডিত রবিশঙ্কর, চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়, অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ। এসব বিশাল ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আমরা আমাদের হৃদয়ের গভীরতম কেন্দ্রে স্থান দিয়েছি- তাকে অভিহিত করেছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে বিষয়টি প্রণিধানযোগ্য, তা হচ্ছে- দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে অজ¯্র দুর্লঙ্ঘ্য বাধা অতিক্রম করে, মৃত্যুকে বারবার পরাস্ত করে তিনি তার স্বপ্নকে তার জীবদ্দশায় বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হন। প্রতিষ্ঠা করেন স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নামক একটি নতুন জাতিরাষ্ট্র। তিনি হয়ে ওঠেন জাতির জনক। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন এমন নতুন কিছু নয়। যারা ইতঃপূর্বে বিভিন্ন সময়ে এ স্বপ্ন দেখেছিলেন নানা কারণে তারা সে স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে পারেননি। এর মধ্যে কাল ও ইতিহাসেরও একটা ভূমিকা ছিল। তবে ইতিহাস যেমন নায়ক সৃষ্টি করে, তেমনি নায়কও ইতিহাস সৃষ্টি করেন। বঙ্গবন্ধু তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
বঙ্গবন্ধু বাকশাল কর্মসূচির আওতায় প্রশাসনিক ও বিচারব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে চেয়েছিলেন। প্রশাসনিক আমলাতন্ত্রের গতানুগতিকতা ও টাইপড চরিত্রকে ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা জনগণের সেবকের ভূমিকা পালন করবেন। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু তার বাকশাল কর্মসূচিকে জাগরণ ও সংস্কারবাদী মানসিকতায় পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন। এ কর্মসূচিতে তিনি সমবায়ের ধারণাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। সমবায়ের অধীনে প্রশাসনিক ও বিচার বিভাগীয় সেল থাকবে। কখনো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে তার বিচারের ব্যবস্থা হবে। বিচারের নামে জনগণকে বছরের পর বছর হয়রানি হতে হবে না। দারোগা, পুলিশ ও উকিল সাহেবদের কলম এবং জেরার মারপ্যাঁচে সত্য-মিথ্যায় পর্যবসিত হবে না এবং মিথ্যাও সত্যে পরিণত হবে না। আসল ঘটনার আলোকে স্থানীয়ভাবে সাথে সাথে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সমবায়ের অধীন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধের জন্য প্রতিটি সমবায়ে ২০ সদস্য বিশিষ্ট একটি পুলিশ বিভাগ থাকবে। এই ২০ জন পুলিশ এক হাজার পরিবারের জানমাল ও শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করবে। এ ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হলে আপনারা সহজেই বুঝতে পারছেন- চুরি, ডাকাতি, অত্যাচার ও অবিচার, গোলমাল-গোলযোগ বা দুর্নীতি কোনোটাই আর সম্ভব হবে না। বঙ্গবন্ধুর তার সারাজীবনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে দ্বিতীয় বিপস্নবের কর্মসূচির মাধ্যমে একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার, ভাত, কাপড়, কাজকর্ম, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান নিশ্চিতের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। বাকশালের বহুমুখী আদর্শে গ্রাম সমবায় একটা অনুন্নত জাতিকে উন্নত করার পথে পৃথিবীর পথ মত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং এভাবে বঙ্গবন্ধু তার দ্বিতীয় বিপস্নবের কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বাংলার সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত জনগণের মুক্তিদাতা হিসেবে আবির্ভূত হন।
বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে তার স্বমহিমায় মহিমান্বিত করেছেন। তার ব্যক্তিত্ব বিশ্ব নেতাদের হতবাক করে দিয়েছিল। যারাই তার সান্নিধ্যে এসেছেন তাদের সবাইকে তার আচরণের মুগ্ধতায় জাগিয়ে তুলেছেন। তার আচরণের মাহাত্ম্য ও অভাবনীয় গুণাবলিতে অবির্ভূত হতেন বিশ্বসমাজের প্রতিনিধিরা। কি জাতিসংঘ, কি আঞ্চলিক সংস্থা সব ফোরামে তার উপস্থিতিতে এক অনবদ্য আকর্ষণের ছাপ পরিলক্ষিত হতো। বিশ্বের সমাজ যেখানে শাসক ও শোষিতের দুটি বহমান ধারায় বিভক্ত- সেখানে তিনি সবসময় শোষিতের পক্ষে সোচ্চার থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন এবং জোরালো গঠনতান্ত্রিক মতামত রাখতেন। নিজ দেশ, পরদেশ কিংবা বিশ্বসমাজে যাতে শান্তি স্থিতিশীলতা বজায় থাকে- সে লক্ষ্যে অগ্রসর হতেন। দরিদ্রতা ও বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়ে সব ক্ষেত্রেই ছিল তার ইতিবাচকতা। যে কোনো পরিস্থিতিতেই তিনি যে কাউকেই আপন করে নিতে পারতেন। যাই হোক বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং মুক্তিদাতা স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন প্রক্রিয়াতে মনোযোগী হলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যাতে কতিপয় লোকের হাতের ক্রীড়নকে পরিণত না হয় সে লক্ষ্যে তিনি বাকশাল গঠনের ইচ্ছে পোষণ করলেন। বরং বহুদলীয় গণতন্ত্রচর্চার পাশাপাশি আদর্শভিত্তিক একটি জাতীয় দলের শক্তিশালী ভিত সৃষ্টি করে জাঁতি গঠন করাই ছিল তার মুখ্য উদ্দেশ্য। এই জাতীয় দলের মধ্যে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মেধাসম্পন্ন ও কৃতী মানুষের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও চিন্তার বিষয়। অন্যদিকে সুশীলসমাজের পরীক্ষিত ও ত্যাগী সমাজ সেবকদের তার এই বাকশাল কর্মসূচি তথা ঐক্যবদ্ধ জাতীয় আদর্শে অন্তর্ভুক্তির কথা ভেবেছিলেন। পরিশেষে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে বঙ্গবন্ধুর বাকশাল আদৌ কোনো এক দলীয় শাসন পরিচালনার কোনো বাতাবরণে গঠিত হয়েছিল- একথা বলার কোনো অবকাশ নেই। বরং বাকশাল একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বাতাবরণে জাতীয় দলভিত্তিক প্রশাসনিক কর্মসূচির নাম- যার মাধ্যমে দেশকে স্বনির্ভর ও বলিষ্ঠ জাতিতে পরিণত করা যাবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি শেষে বাঙালি জাতির নিশ্চয়ই বোধদয় হবে, গতানুগতিক দল ব্যবস্থায় যেভাবে দেশ পরিচালিত হয়ে আসছে তাতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে না- এমনকি দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে না। অর্থাৎ রুগ্ন অর্থনীতিতে ভর করেই হয়তো স্বাধীনতার শতবর্ষ অতিক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। হয়তো বা বাংলাদেশে যে আঁধার বা তিমিরে ছিল সে তিমিরেই থেকে যাবে। তবে হতাশা নয়- আশার কথা এই যে, বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। অগ্রগতির ঢেঁকুর তুলে শুধু বসে বসে কালযাপন করলেই চলবে না। অর্থনৈতিক মুক্তি তথা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত জাতির কাতারে শামিল করতে হলে বঙ্গবন্ধুর বাকশাল কর্মসূচিকে মূল্যায়ন ও অনুসরণ করে সংস্কারবাদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ইতিহাস নির্মাণের কারিগর, মহান জাতির মহান নেতা, অদ্বিতীয় অগ্রনায়ক, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণার নায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি, অবিস্মরণীয় ও বরণীয়, রাজনৈতিক কবি, আকাশের মতো হৃদয়, বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রতীক, উন্নত শির, বাঙালি হৃদয়ের আঁকা জীবনের ¯্রােতধারা, শতাব্দীর মহানায়ক, বিশ্ব শান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ পুরস্কার 'জুলিও ক্যুরি' শান্তি পদকের শাশ্বত প্রতীক, সবই তার অর্জন। মানুষের জীবন হচ্ছে অত্যন্ত মূল্যবান জিনিস। প্রত্যেক মানুষ তার নিজের জীবনকে খুবই মায়া করে থাকে। একমাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধুই নিজের জীবনকে সারাটা জীবনেই তুচ্ছ করে গেছেন। জাতির প্রতি তার এই টান, মমতা ও ভালোবাসা তাকে কি আন্তর্জাতিকতায় উত্তীর্ণ করে তুলতে পারেনি? যেখানেই মানবতার অবক্ষয় দেখেছেন- সেখানেই তিনি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন, বিশ্ব বিবেককে জাগানোর চেষ্টা করেছেন এবং বিশ্বসভার তাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাই আজকের বিশ্বশান্তি পরিষদ এবং সচেতন বিশ্ব মানবসমাজকে সোচ্চার হতে হবে যেন বিশ্বে বিশ্বশান্তি পদক নামে আরেকটি শান্তি পদকের ঘোষণা আসে। তা না হলে বিশ্ব দরবারের অবিচার করা হবে। বিশ্বশান্তি পদক নামের আরেকটি পদক তালিকায় পুরস্কারের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে বিশ্ব মানবতাকে সমুন্নত ও হাস্যোজ্জ্বল করার সময় এসেছে। বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের এক মহানায়ক, মহান ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদার অধিকারী। তার যথাযথ মূল্যায়ন যেন বিশ্ববাসীর কাছে পাওয়া যায় সে লক্ষ্যে আমাদের তৎপর হতে হবে এবং সর্বক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
মুজিব শুধু একজন ব্যক্তির নাম নয়, তিনি আমাদের আদর্শ। তিনি বাংলার মুক্তিকামী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু, সুহৃদ এবং সঠিক পথের দিশারী। তিনি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, উদার ও বিশাল হৃদয়ের একজন সাহসী বিপস্নবী নেতা ছিলেন। মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। মুজিবের আদর্শ নিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষ গবেষণা করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বাকশাল কর্মসূচির মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ব্যক্তিত্ব ও তার আদর্শের পূর্ণ প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। তিনি অনুভব করেছিলেন- কোনো অভিন্ন আদর্শভিত্তিক কর্মসূচি ছাড়া জাতীয় কল্যাণ সম্ভবপর নয়। এজন্য সমগ্র জাতিকে একটি অভিন্ন আদর্শের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। তাই এ দেশ কৃষকের ও শ্রমিকের। তাই কৃষকের ও শ্রমিকের উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে। আর সে বিবেচনায় কৃষকের ও শ্রমিকের জীবন মানের পরিবর্তনই আমাদের লক্ষ্য। আর তাই বাকশালকে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামে অভিহিত না করে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক ও আমাদের লক্ষ্য এই অভিধায় আখ্যায়িত করা যেতে পারে। তাই সংবিধানের মৌলিক ধারা গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার স্বার্থে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার পরিবেশকে অক্ষুণœ রাখতে উৎসাহের ঘাটতি আমাদের কাম্য নয়। একটি জাতির জন্য যা ক্ষতিকর তা হচ্ছে- বিভক্তি, বিচ্ছিন্নতা, পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক দলের দ্বন্দ্ব-সংঘাত, হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানি। এহেন অনুদার ও অপরাজনীতি দিয়ে জাতির বৃহত্তর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কোনোভাবেই অর্জিত হতে পারে না।
সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে বাকশালের মতো একটি অভিন্ন আদর্শের পতাকাতলে জাতীয় সংস্কারবাদী কর্মসূচিতে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। তাই বাকশালকে দলীয় বাতাবরণে আবদ্ধ না করে একটি অভিন্ন আদর্শ কর্মসূচি হিসেবে গণ্য করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ : সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, কলামিস্ট ও গবেষক