জামালপুরে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ. মান্নান বলেছেন, দেশের নতুন প্রজন্মের লক্ষ লক্ষ সন্তান যারা আমাদের বীর সৈনিক। কিন্তু কিছু কুলাঙ্গার স্বাধীনতার শত্রু রাজাকারের বংশধররা এখনো শেখ হাসিনাকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিতে চায়। বর্তমানে দেশের মানুষের যে উন্নয়ন হতে চলেছে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করলে পারলে সেটা আর হবে না। লাভ হবে স্বাধীনতা বিরোধী ওই শত্রুদের।
শুক্রবার (২৭আগষ্ট)বিকেলে জামালপুরে মির্জা আজম মিলনায়তনে সমাজসেবা অধিদফতর ও প্রগতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত“টেকসই গ্রীন হাউজ প্রযুক্তি ব্যবহার ও উন্নত কৃষি উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে করোনা অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রশমন” প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, সদর আসনের ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন এমপি, সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের সিএসপিবি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো: সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ,পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু প্রমুখ।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি শোকের মাসে ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি নাই আমি এখানে কথা বলতে পারি না। আমরা বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর না, খন্দকার মোশতাক খুনি জিয়াউর রহমান না, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি যেখানে থাকবে না.সে অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত হব না। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,ব্যানারে ছবি না থাকা, অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও দু:খজনক। তাই আমি বক্তব্য দিতে চাইনা। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই শোকের মাসে সরকারি একটি দপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠান চলছে, অথচ অনুষ্ঠানের ব্যানারে জাতির পিতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নেই। এটা অনিচ্ছাকৃত কোন ভুল নয়, যারা বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারন করে না, এ ধরনের কাজ তাদের দ্বারাই করা সম্ভব। আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রায় দু বছর ধরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রকল্প চলছে, অথচ জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি নিজেই এই প্রকল্প বিষয়ে জানিনা। এই প্রকল্পের কাজ কতটা স্বচ্ছ ভাবে হচ্ছে সেই বিষয়েও খোঁজ নিতে হবে আমাদের। এ সময় বক্তারা প্রত্যেকেই বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যানারে না থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।