পাবনার সুজানগরের বন্যা কবলিত এলাকায় ব্যাপকভাবে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার চরাঞ্চলের বন্যা কবলিত বাড়ি-ঘরে এই উপদ্রব সব চেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিষধর সাপের কামড়ে উপজেলার গুপিনপুর এবং বস্তাল গ্রামে দুই গৃহবধূ মারা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, শুষ্ক মৌসুমে বিষধর সাপ চরাঞ্চল এবং এলাকার বনজঙ্গলে বসবাস করে। কিন্তু পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ঐ সকল চরাঞ্চল এবং বনজঙ্গল তলিয়ে গেছে। ফলে সাপ উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার বাড়ি-ঘর এবং গাছপালায় আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলার বন্যা কবলিত বস্তাল, শারীরভিটা, চরভবানীপুর, চরসুজানগর ও চরমানিকদীর গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, বন্যার পানিতে তাদের এলাকার চরাঞ্চল এবং বনজঙ্গল তলিয়ে গেছে। এতে বন্যা কবলিত অধিকাংশ বাড়ি-ঘরে সাপের বিচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশাপাশি ঐ সকল সাপ বাড়ির আশপাশের গাছপালাতেও আশ্রয় নিয়েছে। এতে তারা সাপ অতঙ্কে ভুগছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন বিষধর সাব কার্বলিক এসিডের গন্ধকে খুব ভয় পায়। কাজেই ঐ সকল সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে বাড়ি-ঘরে কার্বলিক অ্যাসিড রাখতে হবে।