মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের গোড়াপীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজ্ঞ অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট শীলু রায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মালখানগর ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ সফিউদ্দিন হাওলাদার, মালখানগর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল আলম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কান্তা পাল, মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সানজিদা আক্তার জোৎস্না, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও লেখক সামছুল হক, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সুবীর চক্রবর্তি, পুলিশ উপপরিদর্শক আবদুল কাদির, মালখানগর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা এবিএম মহিউদ্দিন, সিরাজদিখান প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল।
এছাড়া মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মালখানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আনিছুর রহমান মৃধা, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান, তালতলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মোস্তফা, আরমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজন ব্যানার্জী, ফুরশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমতি বিনা দে, তালতলা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, মালখানগর ইউনিয়ন সহকারি কাজি শাখাওয়াত হোসেন, ইউপি সদস্য হারুন মোল্লা, আওলাদ হোসেন, হজরত খান, কোরবান আলী, হারুন অর রশীদ, ঝর্না বেগম, মোহসিনা আক্তার মিমিসহ শিক্ষক, ইমাম, সাংবাদিক, কাজি, ইউপি সদস্য, রাজনৈতিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং। পুরো দেশ টাকে নিজের ভাবুন, অঞ্চল ভিত্তিক ভাববেন না, প্রশাসন ও পুলিশের একার পক্ষে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না, যদি আপনাদের সহযোগিতা না থাকে।
বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তাই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধকরণ সম্ভব না। যারা দুষ্ট, মাদক ব্যবসায়ী বা সেবনকারী তারা মসজিদে আসেন না। তাই মসজিদে আলোচনা হলেও তারা জানতে পারছেন না। সন্ধারপর ছেলে বা মেয়ে যেন বাইরে না থাকে। সন্তানদের প্রতি বাবা-মাকে নজরদারি বাড়াতে হবে। তাই পরিবারের লোকজনকে আরো সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আরো কঠোর হতে হবে। সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।