নওগাঁর মান্দায় গভীররাতে তিন নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে একটি বসতবাড়িতে তান্ডব চালিয়েছে আবদুস সাত্তার নামে একব্যক্তির ভাড়াটিয়া বাহিনী। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দক্ষিণ মৈনম মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার তিন নারী হলেন মৈনম মোল্লাপাড়া গ্রামের জাহানার বেগম (৫৫), মাজেদা বিবি (৫০) ও রেজিয়া বিবি ওরফে ময়না (৪৫)। তাঁদের উদ্ধার করে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অসহায় ময়না বিবির সম্পত্তি জবরদখল করে নিতে গ্রামের আবদুস সাত্তার মোল্লা রাতের অন্ধকারে ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে সদ্য নির্মাণকৃত বসতঘর গুড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় সেখানে থাকা তিন নারীকে মারপিট করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। তান্ডব চালানোর সময় আশপাশের বাড়িঘরেও শিকল তুলে দেওয়া হয়েছিল। হইচই শুনে গ্রামের লোকজন এসে বাড়ির শিকল খুলে বন্দিদশা থেকে প্রতিবেশিদের উদ্ধার করেন। পরে আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ওশনারা বেগম জানান, সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবের সময় ৯৯৯ নম্বরে কল দেওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। ততক্ষণে অপরাধ কর্মকা- ঘটিয়ে সটকে পড়েন আবদুস সাত্তারের ভাড়াটিয়া বাহিনী।
মোল্লাপাড়া গ্রামের সামসুদ্দীন মোল্লা ভুট্টো জানান, আহত রেজিয়া বিবি ওরফে ময়না স্বামী পরিত্যক্ত হওয়ার পর ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করার মত তাঁর কোন জমিজমা নেই। এ অবস্থায় মা আমেনা বেগমের কবলাকৃত সাড়ে ১৬ শতক জমি তাঁকে দান করেন। এ জমি দখল নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে দক্ষিণ মৈনম মোল্লাপাড়া গ্রামের সৎভাই আবদুস সাত্তার মোল্লা।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত আবদুস সাত্তার মোল্লা বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনার অবতারনা করেছে।’
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এরইমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।