কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার কচু সমস্ত দেশে চলে যায়। এই কচু শুধু দেশে নয় বিদেশে ও রপ্তানি হচ্ছে গত কয়েক দশক ধরে। তবে এ বছর ২৭০ হেক্টর জমিতে পানি কচু ও নারিকেল জমিতে ব্যাপক পরিমাণ উৎপাদিত হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। প্রতি বিঘা জমিতে চার হাজার আটশত কচু উৎপাদন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে তাদের কচুর উৎপাদন করার মোট খরচ হয় ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। বিক্রি হয় ৭০-৮০ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে কুলিয়ারচর সদরের একাংশ, শালুয়া ইউনিয়ন গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের ব্যাপক পরিমাণ কচুর চাষ হয়ে থাকে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আংশিক ভাবে কচু জমির চাষ করে থাকে কৃষকরা। চলতি বছরে কৃষি অফিস ২৫০ হেক্টর জমিতে কচুর চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলে ও তারা লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে ২৭০ হেক্টর জমিতে কচু চাষ করেছে। তবে রপ্তানি মুখি হিসেবে কুলিয়ারচর উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা কৃষকরা আয় করেছে বলে কৃষি অফিস সাংবাদ কর্মীদের নিশ্চিত করেন। রোববার আব্দুল্লাপুর-গোবরিয়া মহা সড়কের পাশে কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষাণিক ক্ষতি হলে ও তারা বর্তমানে কচু উৎপাদন বেশি হওয়ায় তেমন কোন তাদের ক্ষতি হয়নি। তারা এখন থেকে কচুর চাষ ব্যাপক হারে করবেন বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। কুলিয়ারচর কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন রোববার দুপুরে এক সাক্ষাতে সাংবাদিকদের বলেন, কুলিয়ারচরে লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, পানি কচু নারিকেল কচু গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন ও শালুয়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি কচুর চাষ হয়। তিনি আরো বলেন, এ বছর কচুর বাম্পার ফলন হওয়ার তিনি যেমন গর্বিত, তেমনি কৃষকরা লাভবান হওয়ায় তিনি আরো উন্নত জাতের কচুর চাষ কৃষকদের করার জন্য উৎফুল্ল করবেন বলে উল্লেখ করেন।