গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে জেলের জালে ৪শ কেজি ওজনের একটি বিশাল একটি শাপলা মাছ ধরা পড়েছে।রোববার (২৯ আগস্ট) ভোরে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৭নং ফেরিঘাটের অদুরে পদ্মা-যমুনা নদীর মোহনায় দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার জেলে বাবু সরদারের জালে শাপলা মাছটি ধরা পড়ে।
পরে শাপলা মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্যে দৌলতদিয়া বাইপাস সড়ক সংলগ্ন দুলাল মন্ডলের একতা মৎস্য আড়তে আনলে সেখানে উন্মুক্ত নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে ৪শ কেজি ওজনের মাছটি কেজি প্রতি ২শ টাকা দরে মোট ৮০হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন রাজবাড়ীর মাছ ব্যবসায়ী কুটি মন্ডল। এ সময় মাছটি দেখতে উৎসুক জনতা সেখানে ভীড় জমায়।
জানা গেছে, বিরল প্রজাতির এই সামুদ্রিক মাছটিকে স্থানীয় ভাবে হাঙ্গস মাছ বলা হলেও এর নাম রেফিন ফিস বা স্টিং ফিস। অঞ্চলভেদে এই মাছটিকে শাপলা পাতা, ঢাউস ও শাকুশ নামেও ডাকা হয়। মাছটি ১২ থেকে ১৩ প্রজাতির হয়ে থাকে। এটি মানব দেহের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এতে প্রোটিন, ভ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধি হওয়ায় এই মাছটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং খেতেও খুবই সুস্বাদু।
স্থানীয় জেলে বাবু সরদার বলেন, আমরা সাধারণত ট্রলারে পদ্মায় বড় মাছ ধরতে যাই। কট সুতার জালে বড় মাছ ধরা পড়ে। কিন্তু হঠাৎ করে বিরল প্রজাতির এই মাছটি ধরা পড়লে খুশি হই। তবে জালে আটকানোর পড়ে মাছটি বেশি লাফালাফি করেনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে মাছটি নৌকায় তুলি।
আরতদার রেজাউল ইসলাম জানান, পদ্মায় নদীতে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে একবার শাপলা পাতা মাছ পাওয়া গিয়েছিলো। এটি সাধারণত মাটির ছুই ছুই করে নদীতে চলে। যে কারণে সহজে জালে ধরা পড়ে না। হয়তো পদ্মার তীব্র স্রোতের কারণে মাটি থেকে ওপরের দিকে এসেছে যে কারণে জেলের জালে মাছটি ধরা পড়েছে।
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকতা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, এটি শাপলা পাতা মাছ নামেই পরিচিত। এটি সাধারণত কক্সবাজারসহ সমুদ্র এলাকায় পাওয়া যায়। তবে শাপলা মাছগুলো এখন অনেক কম পাওয়া যায়। ইতপূর্বে মাছ সম্পর্কে যে তথ্য পেয়েছি সেটি এত বড় আকৃতির নয়। মাছগুলো খেতে খুব সুস্বাদু। আমি নিজে মাছের কাছে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবো।