নাটোরের বড়াইগ্রামে সিরাজুল ইসলাম (৪০) নামে এক ভাগিনাকে রড দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মামা আবদুল জলিল (৫২) ও মিলন হোসেনের (৪০) বিরুদ্ধে। রোববার ১১ টার দিকে উপজেলার খোর্দ্দ কাছুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিরাজুল ওই গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাক চালক ছিলেন। অভিযুক্ত আবদুল জলিল একই গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর ছেলে এবং মিলন বেলাল হোসেনের ছেলে। মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে জানা গেছে।
নিহতের পিতা আবদুল মজিদ জানান, সিরাজুলের মা সকালে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির কাছে পাওনা টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে তার সহোদর ছোট ভাই আবদুল জলিল তাকে থামিয়ে সিরাজুলের মাদক সেবন ও বিক্রির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এ সময় তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে আবদুল জলিল তাকে কিল ঘুষি মারেন। খবর পেয়ে সিরাজুল ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে আবদুল জলিল ও তার ভাই মিলন লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটানোর পাশাপাশি উপর্যুপরি লাথি মারলে সিরাজুল অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্বজনরা স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।