নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ছেলে আবদুল হক(৩০)কে পিটিয়ে হত্যা করে গর্তে পুঁতে রেখেছিলো বাবা আলী আমজাদ(৬৮)। শনিবার রাতে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের তিতারজান গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আবদুল হক সব সময় নেশা করতো এবং নেশার টাকার জন্য পিতা-মাতা’কে মারধর করতো। ছেলের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে থানায় অভিযোগ দিয়েছিলো বাবা আমজাদ। থানায় একটি মামলাও রয়েছে ছেলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে আবদুল হক নেশার টাকার জন্য তার পিতা-মাতা’র উপর অত্যাচার শুরু করলে একপর্যায়ে পিতা আলী আমজাদ ছেলেকে কাঠের মোগর দিয়ে পিটাতে শুরু করে। মারধরের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই আবদুল হকের মৃত্যু হলে নিজ ঘরের বারান্দার কক্ষে মাটির নিচে প্ুঁতে রাখে পিতা-মাতা। রোববার স্থানীয়রা ছেলেটিকে দেখতে না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদকে খবর দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে বাড়িতে এসে বারান্দার কক্ষে নতুন মাটি দেখতে পেয়ে বিষয়টি সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়। রোববার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে আবদুল হকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)শাহ্ নুর-এ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আবদুল হকের পিতা-মাতা’কে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছেলে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।