বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ৫টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার সংবাদ পরে উপজেলা প্রশাসন তাদের েেক রাস্তার দার খুলেদিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রইচ সেরনিয়াবাত ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবুল হাশেম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের উত্তর বড়মগরা গ্রামের ৫টি পরিবারের চলাচলের রাস্তায় প্রতিপক্ষের দেয়া বাঁশের বেড়া ভেঙ্গে দেয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল চন্দ্র দাস, ইউপি সদস্য অজিত কুমার শিকারীসহ প্রমুখ। পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান করে দেন তারা।
উল্লেখ্য, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের উত্তর বড়মগরা গ্রামের বাসুদেব বাগচীসহ ৫টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল একই বাড়ির সচিন বাগচী, সুনিল বাগচী ও সুধীর বাগচী।
অবরুদ্ধ হওয়া পরিবার গুলো প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ধর্না দিলেও অজ্ঞাত কারণে তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পাশাপাশি রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় ওই গ্রামের ৫টি পরিবার ও আশপাশের গ্রামের মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বড়মগড়া থেকে কোদালধোয়া যাওয়ার পাকা রাস্তার সাথে বাসুদেব বাগচীর বাড়িতে যাতায়াতের জন্য একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলের জন্য পথ বন্ধ করে দিয়েছিল প্রতিপক্ষের লোকজন। অবরুদ্ধ হওয়া পরিবারের সদস্য বাসুদেব বাগচী জানান, আমাদের বাড়িতে যাতায়াতের জন্য পাঁচশত বছরের পুরোনো একমাত্র রাস্তাটি গত তিন মাস যাবৎ বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন।
চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের ৫টি পরিবারের অর্ধশতাধিক লোক অবরুদ্ধ হয়ে পরেছিলাম। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম’র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
গতকাল রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বেড়া ভেঙ্গে দিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম বলেন, বাড়িতে যাতায়াতের জন্য রাস্তায় বাঁশের বেড়া অপসারন করা হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে এবং উভয়পক্ষকে বসিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ সমাধাণ করে দেওয়া হয়েছে।