করোনার টিকা নিয়ে সারা পৃথিবীতে কারসাজির কাজ চলছে। আমাদের দেশ ওই ষড়যন্ত্রের মধ্যেই রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী টিকা সংগ্রহের ব্যাপারে আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী ৩ মাসের মধ্যে দেশে ৬০ লক্ষ চীনা টিকা আসছে।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে পৃথক দুটি মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম তার বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, বিশ্ব মহামারী করোনার কারণে আমরা জাতীয়ভাবে বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার পরও সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার উর্ধ্বমুখী ছিলো। কিন্তু বর্তমানে সঠিক ব্যবস্থাপনার কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা সকলে সাফল্য অর্জন করছি। বিশ্বজুড়ে টিকার যে পলিটিক্স ও ষড়যন্ত্র কাজ করছে সেটাকে সামাল দিয়ে আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন টিকা আনার ব্যাপারে। সেজন্য তিনি ব্লাংক চেক দিয়েছেন। টাকার কোন সমস্যা নেই। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ও নভেম্বরে চীনের সিনো ফার্মের ৬০ লাখ ডোজ টিকা আমরা পেয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবেলায় টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। এব্যাপারে আমাদের উদাসীনতা ও অবহেলা করা যাবে না। করোনাকালীন স্বাস্থ্য সুবিধা ও সেবা প্রদানের জন্য তিনি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভা দুটিতে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মনোজ কুমার রায়, পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ডাঃ মোতাহারুল ইসলাম, রংপুর বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও লাইন ডিরেক্টর ডাঃ নাজমুল ইসলাম, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ নাদীর হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ কাজী শামীম হোসেন। সভায় ১৩টি উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।