সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনাকালীন ছুটি ঘোষণা ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আশাশুনি সরকারি কলেজে প্রায় এক মাস সকাল ১০ থেকে দুপুর ২/৩/৪ টা পর্যন্ত শিক্ষকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্বব্যাপী করোনার আক্রমনে মানুষ চরম বিপত্তির মধ্যে রয়েছে। সরকার সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। সে আলোকে আশাশুনি উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাস্তবায়িত হলেও আশাশুনি সরকারি কলেজে শিক্ষক উপস্থিতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গত ৭ আগস্ট থেকে কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক ভাবে কলেজে উপস্থিতির নির্দেশ প্রদান করায় প্রতিদিন করোনার বিধিনিষেধ (লকডাউনসহ) উপেক্ষা করে কলেজে হাজিরা দিতে হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০ টার মধ্যে সকলকে কলেজে ঢুকতে হবে এবং পৃথক একটি হাজিরা খাতায় আগমনের সময় লিখে স্বাক্ষর দিতে হয়। আবার দুপুর ২টা, ৩ টা বা ৪টা পর্যন্ত কলেজে অবস্থান করে পুনরায় হাজিরা খাতায় প্রস্থানের সময় লিখে স্বাক্ষর করে কলেজ ছাড়তে হয়।
এব্যাপারে কলেজেন অধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমানের সাথে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি জানান, ৬ বা ৭ আগস্ট থেকে কলেজে সকল শিক্ষক-কর্মচারীকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। যথারীতি শিক্ষকরা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে থাকেন। সরকারি নির্দেশনা মত শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট প্রদান ও জমা নেওয়ার জন্য এটি করা হচ্ছে।
এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, এ্যাসইনমেন্ট এর কাজে সকল শিক্ষককে প্রতিদিন এবং ১০-৪ টা পর্যন্ত উপস্থিত থাকার প্রয়োজন হয়না। বরং ক্ষমতার অপব্যাবহার করে শিক্ষক-কর্মচারীদের উপর করোনাকালীন সময়ে অন্যায় করা হচ্ছে।
জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা জানান, এ্যাসাইনমেন্ট এর বিষয়টি প্রতিদিন নয় এবং একদিনে সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে নয়, বরং সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন বিভিন্ন বিভাগের/শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ডেকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করা হয়।