চলতি বর্ষার ভরা মৌসুমে পাবনার সুজানগরে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে নদী বা বিলের তেমন কোন মাছের দেখা মিলছেনা।
উপজেলায় ঐতিহাসিক গাজনার বিলসহ ১৫/২০টি ছোট বড় খাল-বিল রয়েছে। তাছাড়া পাশেই রয়েছে পদ্মা নদী। অন্যান্য বছর বর্ষার নতুন পানি আসার পর পর সুজানগর পৌর বাজারসহ উপজেলার সকল হাট-বাজারে নদী ও খাল-বিলের রুই, কাতলা, মৃগেল এবং বোয়ালসহ দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ উঠতে দেখা গেছে। কিন্তু এ বছর আষাঢ়, শ্রাবণ এবং ভাদ্র মাস শেষ হতে চললেও হাট-বাজারে বিল এবং নদীর তেমন কোন মাছ চোখে পড়ছেনা। উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে স্থানীয় পুকুরে চাষ করা পাঙাস, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প এবং বাটা মাছ বিক্রি হচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে সুজানগর পৌর বাজারে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ উঠছে। কিন্তু ইলিশের দাম চড়া হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ তা কিনতে পারছেন না। উপজেলার খয়রান গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান বলেন শুষ্ক মৌসুমে এলাকার অসাধু মৎস্যজীবীরা উপজেলার খাল-বিল থেকে সেঁচে মাছ শিকার করে থাকে। তাছাড়া প্রজনন মৌসুমে ঐ সকল খাল-বিল হতে অবাধে মা মাছ শিকার করা হয়। ফলে চলতি বর্ষার মৌসুমে হাট-বাজারে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন এ বছর নদী-নালা এবং খাল-বিলে প্রাকৃতিকভাবেই মাছ কম। সেকারণে হাট-বাজারে মাছের অভাব দেখা দিয়েছে।