‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বাগেরহাটের শরণখোলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ইলিশের জীবনচক্রেও পরিবর্তন এসেছে। সুমদ্র তলদেশের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে খাদ্য সংকটও দেখা দিতে পারে। যে কারণে এবছর বঙ্গোসাগরের কোথাও বেশি আবার কোথাও একেবারেই ইলিশ পড়ছে না। তবে, বর্তামান সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগে সামগ্রিকভাবে দেশে ইলিশসহ সব ধরণের মাছের উৎপাদন বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবশেবান্ধব ও উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রম গ্রহনের ফলে দেশ আজ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। জাঁতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী গত ১০বছরের হিসাবে মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এই সাফল্য বিশ্ব পরিম-লেও স্বীকৃত। এই অবস্থান থেকে সামনের দিকে আরো অগ্রসর হতে হলে সরকারের পাশাপাশি সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান মিলন, সাবেক সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আলী, সহসভাপতি আবদুর রাজ্জাক তালুকদার, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম সাগর, দপ্তর সম্পাদক মনিরুজ্জামান আকন, প্রকাশনা সম্পাদক ও এফএনএস-এর শরণখোলা প্রতিনিধি সাবেরা ঝর্ণা, সদস্য আনোয়ার হোসেন, আসাদুজ্জামান স্বপন, মাহফুজুর রহমান বাপ্পি প্রমূখ।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা এম এম পারভেজ এফ.এন.এসকে জানায় রোববার উপজেলা পরিষদের হলরুমে মৎস সপ্তাহ উপলক্ষে প্রমান্য চিত্র প্রদর্শণ এবং উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রায়হান উদ্দীন শান্ত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাতসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ। সোমবার তাফালবাড়ী বাজারে চাষী ও জেলেদের সাথে মত বিনিময় এবং মাটি ও পানি পরীক্ষার কর্মসূচি রয়েছে।