পুঠিয়ায় নারোদ নদী অবৈধভাবে দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছে, ক্ষমতার দলের প্রভাব খাটিয়ে কিছু লোকজন কৌশলে নদীর ওপর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে মহাসড়কের সাথে পুরো নদী এলাকা জুড়ে দখল হয়ে যাবে। শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের সামনে নারোদ নদীর ওপর কাঠ-বাঁশ দিয়ে পাশাপাশি দুটি দোকানঘর নির্মাণের কাজ চলছে। যার প্রতিটি ঘর প্রায় এক হাজার ৫০০ স্কয়ার ফিটের মতো হবে। ইতোমধ্যে ঘর দুটির নির্মাণ কাজ অর্ধেক হয়েছে। বিড়ালদহ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বানেশ্বর ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি আলীউজ্জামান মন্টু বলেন, কিছুদিন থেকে দেখছি, স্থানীয় ব্যবসায়ি জনাব আলী নদীর ওপর দোকানঘর তৈরি করছেন। তিনি কিভাবে সেখানে দোকানঘর নির্মাণ করছে সেটা আমার জানা নেই। তবে আমার জানামতে তিনি নদীর ওপরে যে স্থানে ঘর তৈরি করছেন, তার সামনে মহাসড়কের সাথে লাগায়া জায়গার মালিক দুইজন রয়েছে। তাদের সাথে যোগসাজস থাকতে পাড়ে। তবে এই বিষয়টি উপজেলা ভূমি অফিস ভালো বলতে পারবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিড়ালদহ বাজারের ব্যবসায়িরা বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী জনাব আলী বর্তমান ক্ষমতাসিন দলের লোক পরিচয়ে নদী দখল শুরু করেছেন। তার দখলকৃত স্থানে নদীর ওপর তড়িঘড়ি করে বড় দুটি ঘর তৈরি করছেন। তার এই নদীর দখলের ঘটনায় পুরো বিড়ালদহ এলাকাজুড়ে চলছে কানাঘুষা। তবে তিনি নির্মাণ কাজ শেষ হলে তার কিছু অনুসারিরা মহাসড়কের সামনে নদীর পুরো এলাকা দখল নেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছেন। তবে জনাব আলী বলেন, নদীর ওপর দুটি ঘর তৈরি হবে সুন্দর পরিবেশে। একটি খাবার হোটেল ও অপরটি কফিশপ গড়ে তোলা হবে। আশা করা যায়, আগামী ২০-২৫ দিনের মধ্যে নির্মাণাধিন দোকান দুটো চালু করা হবে। অনুমতি ছাড়া কিভাবে নদীর ওপর এত বড় দুটি ঘর তৈরি করছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নদী সরকারী। আর আমরা সরকার দলীয় লোক। কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে আমার নির্মিত ঘরের সামনে যাদের পজিশন দখলে আছে তাদের কিছু টাকা হয়তো দিতে হতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ বলেন, আমি নদী দখল হওয়ার বিষয়টি শুনার পর থানাকে বলেছি। তারপর,আজ রোববার কী বলে তারা নদীর ওপর নির্মাণ কাজ করছে। তাদের আমার অফিসে ডাকা হয়েছে।