সরাইলে আপন চাচাত ভাইদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার সরাইল থানায় দুটি মামলা জমা হয়েছে। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছেন ৪ ব্যক্তিকে। এরা হাতকড়া পড়াবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জায়গার বিরূধের জের ধরে উপজেলার অরূয়াইলের বাদে অরূয়াইল গ্রামে গত রোববার সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, বাদে অরূয়াইল গ্রামের বাসিন্ধা আবদুর রাশেদ ও আ: বাছির। তারা আপন দুই ভাই। বর্তমানে দু’জনই প্রয়াত। বসতবাড়ির জায়গার দখলকে কেন্দ্র করে তাদের সন্তানদের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি রশিদ মাষ্টারের ছেলে মুসলিম উদ্দিনের সাথে আ. বাছিরের ছেলে আ: কুদ্দুছের সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আদালতে তাদের মামলাও রয়েছে। গত রোববার সকালে ওই বিরোধপূর্ণ জায়গায় জোরপূর্বক ঘর তুলতে যায় কুদ্দুস মিয়া। বাঁধা দেয় তার আপন চাচাত ভাই শফি উদ্দিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস মিয়া ও তার ভাইয়েরা শফি উদ্দিনের উপর হামলা চালায়। শফি উদ্দিনকে বাঁচাতে তার অন্য ভাইয়েরা এগিয়ে আসলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। দা দিয়ে তারা আপন চাচাত ভাইয়েরা একে অপরকে কূপিয়ে জখম ও গুরূতর আহত করে। একই পরিবারের আপন চাচাত ভাইদের মধ্যে রক্তাক্ত পরিবেশ কাঁপিয়ে তুলে স্থানীয়দের। এ ঘটনায় উভয় পরিবারের ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে গুরূতর আহত নূর উদ্দিনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যরা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে কুদ্দুছকে (৪৮) সরাইল থেকে আর আহত কবির (৫২), আবুল খায়ের (৩৫) ও ছালেককে (৪৩) জেলা সদর হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ প্রহরায় হাতে হাতকড়া পড়াবস্থায় তারা এখন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওদিকে মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে আবুল খায়েরকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরূদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার মামলাটি নথিভূক্ত হয়েছে। আবদুল কুদ্দুছের পক্ষ থেকেও আরেকটি মামলা হয়েছে। ওই মামলাটির তদন্ত চলছে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহত নূর উদ্দিন মারা যেতে পারে এমন গুজব ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশকে আরো উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছেন একটি মহল। সদর হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকায় নেয়ার কথা বলে অন্যত্র সরিয়ে রেখেছেন দীর্ঘ সময়। রাত ১০টার পর ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছেন। মাঝের লম্বা সময় নূর উদ্দিন কোথায় ছিলেন? আমরা অরূয়াইলে পুলিশ মোতায়েন করে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। এখন সেখানকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। সবসময় সবকিছুর খোঁজ খবর রাখছি।