ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৭ তম আবির্ভাব তিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, শুধু নামকীর্তন আর গান বাজনা করলেই হবেনা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কর্মময় জীবন সম্মন্ধে জানতে হবে। শ্রীকৃষ্ণের জীবনীকে নতুন করে পাঠ করতে হবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে সোমবার দুপুরে শহরের কবি জসীম উদ্ দীন হলে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে গীতা পাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা মাস্টার, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক মোল্যা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, সরকারি ইয়াসিন কলেজের অধ্যক্ষ শীলা রানী মন্ডল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ অরুন মন্ডল, কোতোয়ালি থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কিংকর মিত্র, পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর্মকার, শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনের মানস বন্ধু ব্রক্ষ্মচারী।
সভায় ফরিদপুরে একটি গীতা একাডেমি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য আগ্রহীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। বক্তাগণ বলেন, গীতাপাঠ আমাদের আধ্যাত্মিক চর্চা আর মহাভারত আমাদের জীবন দর্শন।
আলোচনা সভা শেষে গীতা পাঠে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিরতণ করা হয়। গীতা পাঠে প্রথম বিজয়ী শর্মীষ্ঠা সরকারকে দশ হাজার টাকা, দ্বিতীয় বিজয়ী গীতি সাহাকে নয় হাজার টাকা, ৩য় বিজয়ীকে প্রান্তকে আট হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। সবাইকে একটি করে গীতা দেয়া হয়। অংশ গ্রহণকারী সকলকে এক হাজার করে টাকা ও গীতা দেয়া হয়।