নওগাঁয় এক প্রভাবশালী কাঠ ব্যবসায়ীর পুকুরের কারণ বিগত ৫ বছর ধরে ১১৫ বিঘা জমি অনাবদি পড়ে আছে। এ ব্যাপারে প্রশাসেেনর হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগিরা। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, নওগাঁ সদর উপজেলাধীন বর্ষাইল ইউনিয়েন মল্লিকপুর গ্রামের মল্লিকপুর মৌজার গ্যারাকান্দর নামে একটি মাঠ প্রায় ১১৫ বিঘা তিনফসলি জমি গত ৫ বছর ধরে পানি নিস্কাষনের অভাবে অনাবাদি হয়ে পরে আছে। এই মাঠটির পানি আগে পশ্চিমদিক দিয়ে বিভিন্ন জমির উপর দিয়ে স্থানিয় খাড়িতে পরতো। কিন্তু বছর পাঁচেক আগে স্থানিয় এক কাঠ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জনৈক মন্জুরুল কাদিরের কিছু জমি কিনে নেন। এরপর তিনি কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ওই জমির ধরণ পরিবর্তন করে সেখানে প্রায় ১০ কাঠার একটি পুকুর খনন করেন। এই পুকুরের উঁচু পাড়ের কারণে বর্ষা মৌসুমের পানি নিস্কাষন বন্ধ হয়ে গ্যারাকান্দর মাঠের প্রায় ৯০ জন কৃষকের ১১৫ বিঘা জমি দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে পড়ায় তা অনাবাদি জমিতে রৃপান্তরিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় অসহায় কৃষকেরা সিরাজুল ইসলামের কাছে পুকুরের উত্তর পার দিয়ে একটি ড্রেন চাইলে তিনি ড্রেন প্রদানে অস্বীকৃতি জানান। অসহায় কৃষকেরা প্রথমে স্থানী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি বিষয়টি মিমাংশা করতে ব্যর্থ হন। পরে বিষয় নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদে জানানো হলে সদর উপজেল পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা বিষয়টি মিমাংশার জন্য সেখানে গিয়ে পানি নিস্কাষনের একটি ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু কিছু তিন যেতে না যেতেই ভাইস চেয়ারম্যানের উদ্যোগ কে ব্যর্থ করে পানি নিস্কাষনের ওই ব্যবস্থাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ তিন বছর আগে তৎকালীনউপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করানো হলেও আজ অবধি ওই ১১৫ বিঘা জমি পানিবন্দি হয়ে অনাবাদি পরে আছে। গ্রামের জমির মালিক মামুনুর রশিদ, সাখায়াত হোসেন, রেজাউল করিম সহ অন্যেরা জানান তাদের কারো কারো শুধুমাত্র একখন্ড জমিই ও মৌজায় থাকায় তারা ফসল উৎপাদন করতে না পারায় দূর্বিসহ অবস্থায় রয়েছেন। এই ১১৫ বিঘা তিন ফসলি জমির পানি মুক্ত করে ফসলি জমিতে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহনে ভ’ক্তভোগি কৃষকেরা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগ ও মন্ত্রানালয়ের দৃষ্টি কামনা করছেন।