গ্রীনলেডি পেঁপে চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য পেয়েছে সাদ্দাম হোসেন নামের এক ব্যাক্তি। তিনি একসময় বীজ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে ফিরে শুরু করে ফলের বাগান করতে। বর্তমানে ১১০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ফলের বাগান করেছেন। সে বাগানে চাষ করেছে সফলতা পেয়েছেন গ্রীনলেডি পেপের আবাদ। চাকরি ছেড়ে ফলের বাগান করে তিনি এখন অর্থনৈতিকভাবে সফল হয়েছেন। প্রথম বছরই চলতি মৌসুমে খরচ মিটিয়েও মোটা অংকের টাকা লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন। বাগানের চারি পাশ দিয়ে গ্রিন লেডি পেপের চাষ করেছেন। সাদ্দাম হোসেন
রায়পুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন বলেন প্রায় ৭ বছর সিড কোম্পানিতে চাকরি করেছেন সে সময়ে প্রবাসি জাপানের অনেকের সাথে মাঠ পর্যায় সেমিনার করতেন। জাপানের সিয়াটাই কোম্পানির সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।
বিগত বছর ২০২০ সালে ১০ কেজি পেঁপের বিজ ক্রয় করে ১১০ বিঘা জমির চতুর পাশে বীজ বপন করেন। পাশাপাশি এক বছরে মাত্র দু,বার রাসায়নিক সার প্রয়োগ করেছেন। বর্তমানে তিনি বানিজ্যিক ভিত্তিতে গ্রীনলেডি পেঁপের চাষ করছেন। বানিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করতে হলে নাইট্রোজেন ও এমোভি বেশি দিতে হয়। এলাকার অনেকেই গ্রীনলেডি পেঁপের আবাদ করার জন্য অতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সে লক্ষে সাদ্দাম হোসেন নতুন করে ৫০ হাজার গ্রীনলেডি পেঁপের চারা ক্রয়ের জন্য অর্ডার দিয়েছেন। এসব চারা রায়পুর গ্রামের কৃষকরা তাদের জমিতে রোপন করবেন। প্রতিটি চারা ক্রয় করছেন ৩০ টাকা দরে। প্রতিবিঘিা জমিতে ২৫০ টি গ্রীনলেডি পেঁপের গাছ রোপন করলে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব। চারা রোপন থেকে ফল ধরা পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। এ পেপেঁ বাজারে চাহিদা অনেকটা বেশি রয়েছে। রায়পুর এলাকার মানুষ সাদ্দাম হোসেন কে তরুন কৃষিবিদ বলে তার নাম প্রচার করেন। পেঁপে ক্রয়ের কজন্য বাজারে গেলে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করতে হয়, এরপর তিনি মানসিক ভাবে গ্রীনলেডি পেঁপে চাষের সিদ্ধান্ত নিয়ে বানিজ্যিক ভিিিত্ততে চাষ করে সফল হয়েছেন। বর্তমানে পেঁপের ওজনে গাছ ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছেন তরুন কৃষক সাদ্দাম হোসেন। প্রথম বছরের ফসলে প্রথম বছরই সব খরচ মিটিয়ে অনেক ভালো লাভের মুখ দেখেছেন পেঁপে চাষী। গ্রীন লেডি পেঁপে নতুন হাইব্রীড জাতের এর ফলন খুব ভাল হয় এবং খুবই লাভজনক ফল।
সাদ্দাম হোসেনের ফলন ভাল হওয়ায় এই সু-স্বাধু পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন রায়পুর এলাকার কৃষকরা। গ্রীনলেডি জাতের পেঁপে চাষ নিয়ে হৈ চৈ পড়েছে পুরো এলাকায়। পেঁপে চাষ করে তিনি যেমন সফল হয়েছেন তেমনি এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার বাগানের ফলস দেখে আশপাশের কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এই জাতের পেঁপে চাষে।এই এলাকার মাটি ধানের চেয়ে ফল চাষে খুবই উপযোগি। এই তথ্যটি ছড়িয়ে দিতে পারলে ফল চাষে উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরী হবে এবং কৃষি শিল্পে ব্যাপক অবদান রাখবে।