রাজশাহীর পুঠিয়ায় প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে মেয়ে। সেই ক্ষোভে স্ত্রী আমেনা বেগম (৪০) মাথার চুল কেটে দিয়েছেন স্বামি। এ ঘটনায় স্বামি আমেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামিকে আটক করেছেন।
গত রোববার (২৯ আগস্ট ) উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেশী ভাই সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২৫ বছর আগে পূর্বে কান্দ্রা গ্রামের মৃত নইমুদ্দিনের ছেলে আমেদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় আমেনা আক্তারের। তাদের পরিবারে কলেজ পড়ুয়া একটি মেয়ে আছে। গত কয়েকদিন আগে ওই মেয়ে তার প্রেমিকের হাতধরে পালিয়ে গেছে। এরপর থেকে স্বামি-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। অপরদিকে মেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় গ্রামের লোকজনের নানা সমালোচনায় মধ্যে পড়েন আমেদুল ইসলাম। মেয়ের কারণে সমাজে মুখ দেখাতে পারেন না বলে গত রোববার বিকেলে দুই জনের মধ্যে আবারো ঝগড়া শুরু হয়। কেনো মেয়েকে দেখে রাখতে পারেনি তাই স্ত্রীর মাথার চুল কেটে দেয় আমেদুল ইসলাম। চুল কেটে দেয়ায় স্ত্রী ক্ষােভে গত সোমবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও যৌতুক আইনে একটি অভিযোগ দেন। সোমবার রাতেই পুলিশ তাকে আটক করেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন এমন অভিযোগে স্ত্রী নিজেই বাদী হয়ে স্বামী আমেদুল ইসলামেরর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অভিযুক্তকে পুলিশ গতকাল আটক করেছেন। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।