লক্ষ্মীপুরের উত্তর চন্দ্রপুরে রাতভর প্রবাসীর স্ত্রীকে চারজনে মিলে সংঘবদ্ধভাবে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার পর দুই অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি এ কে ফজলুল হক। এর আগে ৩০আগষ্ট মধ্য রাতে ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও স্বর্ণালংকার লুট করে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে অভিযুক্ত চার আসামীর মধ্যে মোরশেদ আলম সোহেল (৩২) ও মো. সোহেলকে (৩৫) নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন হাজিরপাড়া ইউপির উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামে মালেয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীকে তার বসতঘরে ঢুকে জোরপূর্বক চার জনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই গৃহবধূকে মারধর করে তার গলার চেইন, কানের দুল ও ২টি আংটি নিয়ে যায় ধর্ষকরা। এ সময় গৃহবধূ বসতঘরে একাই ছিলেন। তার আট বছরের একটি কন্যাসন্তান তখন তার নানার বাড়িতে ছিল।
পরদিন মঙ্গলবার গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিরা হলো- স্থানীয় উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবিদ মিয়ার পুত্র মো. বাচ্চু (৩৮), হরিহর চক্র গ্রামের মৃত আবিদ মিয়ার পুত্র মো. সোহেল (৩২), উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত নুরনবীর পুত্র মো. সোহেল ও হরিহর চক্র গ্রামের নুরুল ইসলাম ড্রাইভারের পুত্র সোহেল আহাম্মদ (৩৫)। পরে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। অপর দুইজনকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) একে ফজলুল হক মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে,অপর দুইজনকে খূঁজছে পুলিশ।