গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় অজ্ঞাত রোগে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার ও মঙ্গলবার উপজলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ঘিঘাট ও একডালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে চরম ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। মৃত ব্যক্তিদের আশপাশের বাড়ির লোকজনও আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে গরু, ছাগল, হাঁস ও মুরগি নিয়ে অন্যত্র অবস্থান নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঘিঘাট এলাকার তাজউদ্দিনের পুত্র আমজাদ হোসেন (৩৫) রোববার দুপুরের হঠাৎ ছটফট করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। একদিন পর গত মঙ্গলবার দুপুরে আমজাদ হোসেনের আড়াই বছর বয়সী শিশুপুত্র তামিম হোসেন একই অবস্থায় মারা যায়। তাছাড়া ওই বাড়ির হাঁস, মুরগি, কবুতর ও মারা যায়। ওই দিন রাত সাড়ে ৭ টার দিকে আমজাদ হোসেনের মা সাফিয়া বেগম (৫৫) একই রোগে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ মারা যায়। এর ঠিক দুই ঘন্টা পর মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পাশ^বর্তী একডালা এলাকার নুরুল হকের স্ত্রী আছমা বেগম (৪০) একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আছমা বেগম আমজাদ হোসেনের নিকট আত্মীয়। আমজাদের মৃত্যুর দিন তিনি ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। একই বাড়ির তিনজনসহ ৪ জনের মৃত্যুতে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। মৃত: ব্যক্তিদের বাড়ির আশপাশের লোকজন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। তবে, চিকিৎসকরা বলছেন, আতঙ্কের কিছু নাই, তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তবে, কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সালাম সরকার জানিয়েছেন, আতঙ্কের কিছুই নাই। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, মৃগী রোগের কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ ইসমত আরা এই প্রতিনিধিকে বলেন, অল্পসময়ের ব্যবধানে একই বাড়ির তিনজনসহ পাশের গ্রামে আরো একজন লোক মারা যাওয়ায় কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নাই। তাদের স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের আশপাশের লোকজন যাতে আতঙ্কিত না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।