পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বৃহস্পতিবার(২সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি কিছুটা কমলেও সেতু পয়েন্টে এখনও বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উলিপুর উপজেলার অনন্তপুর বাজারের কাছে বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে গেছে পানি। এতে নতুন করে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার তিন শতাধিক চরের ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত রয়েছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদিপশুর খাদ্য সংকট প্রকট হয়ে উঠছে।
অপরদিকে, ধরলা ও তিস্তাা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে রাজারহাট উপজেলার গতিয়াশাম, খিতাবখা, কিং ছিনাই ও সদর উপজেলার চর বড়াইবাড়িসহ ২৫টি পয়েণ্টে নদীভাঙন তীব্ররূপ ধারন করেছে। গৃহহীন হয়েছে কয়েকশত পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, মো: আরিফুল ইসলাম জানান, ধরলা ও তিস্তার পানি ইতোমধ্যে অনেক কমেছে। বৃহষ্পতিবার রাত থেকে ব্রহ্মপুত্রে পানি কমতে শুরু করবে। তখন বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হবে।