কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সাপখাওয়া দাখিল মাদরাসা হতে মধুরহাইল্যা হয়ে রতনপুর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার কাঁচা সড়কটির বেহাল অবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদা আর পানিতে একাকার হয়ে যায়। ইতোমধ্যে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ হয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ আর কষ্টে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনসাধারণ। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে নাগেশ্বরী পৌরসভার সাপখাওয়া দাখিল মাদরাসা থেকে মধুর হাইল্যা হয়ে রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রতনপুর এলাকা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় খনাখন্দ আর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই বিভিন্ন স্থানে হাঁটু কাদায় পরিণত হয়। এ সময় সড়কটি দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। প্রতিদিন পায়ে হেটে কাঁদা মাড়িয়ে এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেতে হয় সোনইর খামার, রায়গঞ্জ, ইউনিয়ন পরিষদে সেবা গ্রহণ, বোর্ডের বাজার, মাঝিটারী, আদর্শ পাড়া, মাস্টারপাড়া, মিনাবাজার, বড়বাড়ী, হাজির মোড়, মোল্লারভিটা, তেলিয়ানীর পাড়, সাপখাওয়া, মধুরহাইল্যা, সরকারটারীসহ আরো কয়েক গ্রামের হাজারো জনসাধারণকে। এই একটি মাত্র সড়ক দিয়ে জেলা ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয় এসব এলাকার মানুষকে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানালেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহর করার প্রতিশ্রুতি দিলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এই অঞ্চলে উন্নয়ের ছোঁয়া লাগেনি বলে আক্ষেপ স্থানীয়দের। এমনকী এই সড়ক পাকাকরণে উদ্যোগ নেয়নি কোনো সংসদ সদস্য, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় মিজানুর রহমান মিজান, আবদুর রশিদ, চন্দন কুমার, শামছুল আলম জানায়, সড়কটি সাপখাওয়া বাজার ও শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার একমাত্র পথ। বর্ষার দিনে তাদের সন্তানরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেন না। সাপখাওয়া বাজারের শেখ মো. নুর ইসলাম জানায় বাড়ি থেকে বাজার যাওয়ার সড়কটিতে অসংখ্য খনাখন্দ ও হাঁটু পর্যন্ত কাঁদা। কোন প্রকার যান নিয়ে চলাচল করা যায় না।
সালেহা খাতুন জানায়, সড়কের এমন অবস্থায় এ এলাকায় কেউ আত্মীয় করতে চাননা। ছেলে মেয়েকে বিয়ে দিতেও বিপাকে পড়েন তারা। অসুস্থ কিংবা গর্ভবতী মহিলাকে সময়মতো হাসপাতালে নিতে পারেন না তারা। রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম আব্দুল্লাহ আল-ওয়ালিদ মাসুম বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণ না হওয়ায় অনেকদূর ঘুরে উপজেলা ও জেলা সদরে যেতে হয়। বৃষ্টি মৌসুমে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। সড়কটি পাকা করনের জন্য কয়েক দফা সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে বলেও কোন লাভ হয়নি। উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে গেলে শুধু বলে, সড়কটি পাকাকরণের জন্য একটি প্রকল্পে ধরা আছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকৌশলী (অ.দা) আসিফ ইকবাল বলেন, আমি এখানে নতুন। এই সড়কটির ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই।