কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হেসাখাল বাজারে বুধবার দিবাগত রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় আগুনে ১১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে লাকসাম ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ১টি ফায়ার ইউনিট ১ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ফায়ার সার্ভিস আসার পূর্বেই দোকান গুলো পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে যায়। আগুনে ১১ ব্যবসায়ী ও দোকান ঘর মালিকদের অন্তত দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ব্যবসায়ীদের। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামছু উদ্দিন কালু, নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল, হেসাখাল ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহম্মেদ ভূঁইয়া, সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মোল্লা।
স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান, উপজেলার হেসাখাল নঈম নিজাম ডিগ্রী কলেজের দক্ষিণ পাশের আবদুর রশিদ ও তার ভাই রবিউল হকের মালাকানাধীন মাকের্টে বুধবার রাতে বাছিরের মোরগ দোকানে ওজন মাপার ডিজিটাল মেশিনের চার্জার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় মোরগ দোকান থেকে পাশের মজিবুল হক, জামাল হোসেন ও লিটনের মুদি দোকান, মাসুদ আলম, মনির হোসেন, ও জসিম উদ্দিনের কনফেকশনারী, নাছির উদ্দিনের কম্পিউটার দোকান, সারওয়ার আলমের কসমেটিক, পেয়ার আহম্মদ সুমন ও মাঈন উদ্দিনের ফার্মেসী পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে যায়। তবে মজিবুল হকের মুদি দোকানের বৈদ্যুতিক মিটার থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলেও দাবী অনেকের।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থদের জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের আবেদন করতে বলা হয়েছে, আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সহযোগীতা করা হবে।