নিজেদের ভুলে পিছিয়ে পড়ার পরপরই সৌভাগ্যসূচক গোলে ম্যাচে ফিরল ফ্রান্স। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ায় বাকি সময়ে আর পেরে উঠল না বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তাদের মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরল বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বুধবার রাতে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়। এদিন জেকোর গোলে বসনিয়া এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন অঁতোয়ান গ্রিজমান। দ্বিতীয়ার্ধে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ফ্রান্সের ডিফেন্ডার জুল কুন্দে। গত জুনে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারের পর এটিই ছিল ফ্রান্সের প্রথম ম্যাচ। বাছাইয়ে গত মার্চে বসনিয়ার মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল দিদিয়ে দেশমের দল। স্ত্রাসবুরে শুরুতে দুই দলের খেলাই ছিল একটু ধীরগতির। এর মাঝেই চতুর্থ মিনিটে সতীর্থের থ্রু বল ধরে করিম বেনজেমার নেওয়া শট ঠেকান সফরকারী গোলরক্ষক। যদিও পরে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ২৬তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পাননি কিলিয়ান এমবাপে। দুরূহ কোণ থেকে পিএসজি তারকার প্রচেষ্টা বাধা পায় পোস্টে। ৩৫তম মিনিটে প্রথম ফ্রান্স গোলরক্ষকের পরীক্ষা নেয় বসনিয়া। বার্সেলোনার মিডফিল্ডার মিরালেম পিয়ানিচের ফ্রি কিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান উগো লরিস। পরের মিনিটেই জেকোর দারুণ গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ফ্রান্সের তুমা লিমাঁ বল তুলে দেন জেকোর পায়ে। একটু এগিয়ে ২০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের নিচু শটে বল জালে পাঠান ইন্টার মিলানের ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। কোনো সুযোগই পাননি লরিস। বসনিয়ার সর্বোচ্চ গোলদাতা জেকোর গোল সংখ্যা বেড়ে হলো ৬০টি। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তাদের। ৩৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। এমবাপের কর্নারে কাছ থেকে হেড করতে ব্যর্থ হন গ্রিজমান। পেছনেই দাঁড়ানো জেকোর হেডে বল গ্রিজমানের গায়ে লেগে গোললাইন পেরিয়ে যায়। ৫১তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ফ্রান্স। প্রতিপক্ষের একজনকে ফাউল করে শুরুতে হলুদ কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার কুন্দে। পরে ভিএআরের সাহায্যে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। একজন কম নিয়ে বাকি সময়ে পরিষ্কার সুযোগই তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। মাঠ ছাড়ে পয়েন্ট হারানোর হতাশায়। ৪ ম্যাচে দুটি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্স। আরেক ম্যাচে কাজাখস্তানের বিপক্ষে ২-২ ড্র করা ইউক্রেন ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে। পরের তিনটি স্থানে থাকা ফিনল্যান্ড (২ ম্যাচ), বসনিয়া (৩ ম্যাচ) ও কাজাখস্তানের (৩ ম্যাচ) পয়েন্ট সমান ২ করে। নিজেদের পরের ম্যাচে আগামী শনিবার ইউক্রেন, এরপর মঙ্গলবার ফিনল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।