রূহিতা গ্রামের ১৩ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনার পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই গ্রামের শুটকি ব্যবসায়ী খলিল এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় তার বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে শনিবার (০৪/০৯/২০২১) দুপুরে পাথরঘাটা থানায়মামলা দায়ের করেছেন।
খলিল (৪৫) পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রূহিতা গ্রামের ছালাম ওরফে মিষ্টি ছালামের ছেলে।
ওই শিশুটির মা বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ আমার মেয়েটির শরীরের পরিবর্তন দেখে তার কাছে এ অবস্থার কথা জানতে চাই। তখন এ অবস্থার কথা সব জানায় এবং মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারি। তবে অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় খলিল দায়ী বলে আমার মেয়ে জানায়। পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দা ও সুশীলন নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার লোকজনের পরামর্শে ডাক্তার দেখাই এ সময় জানতে পারি আমার মেয়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
শিশুটির মা আরও বলেন, সম্ভাব্য চলতি বছরের ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘরের পাশে একটি ছাগল হঠাৎ জোরে শব্দ করলে ঘর থেকে নামে ১৩ বছরের ওই মেয়েটি। এ সময় ওই মেয়েটিকে জোর করে মুখ বেঁধে ঘরের পাশে একটি পরিত্যক্ত (শুকনো) ডোবায়নিয়ে যায়। এ সময় ওই ডোবায় নিয়ে খলিল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে শুটকি ব্যবসায়ী খলিল ওই শিশুকে শাসিয়ে বলে এ কথা যদি কাউকে বলো তবে তোকে ও তোর মাকে খুন করে ফেলবো।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলনের পাথরঘাটা উপজেলা ব্যবস্থাপক ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমরা মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। এ সময় জানতে পারি মেয়েটির পরিবারের এক সদস্যকে নিয়ে আলট্রাসনো করিয়েছেন। ওইআলট্রাসনো রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, মেয়েটি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০২১।
অভিযোগ প্রসঙ্গে খলিলের মুঠোফোনে ফোন করা হলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার বলেন, ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা করছে।