যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির দুই সদস্যের ওপর হামলা মারপিট ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য শহীদ আনোয়ার পাভেল। আসামি করা হয়েছে পোস্ট অফিস পাড়ার মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে মাসুম আহম্মেদ শ্যামলকে। বাদীর অভিযোগ জজ কোর্ট মোড়ে তাসনিন প্লাজা নামে একটি ভবন রয়েছে মাসুমের। সেই ভবনের দোতলায় সিনিয়র আইনজীবী খালেদ হাসান জিউসের জুনিয়র হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি আইন পেশার কাজ করে আসছেন। আসামি মাসুম ওই ভবন থেকে তাদেরকে অবৈধভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় উচ্ছেদের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এর মধ্যে গত ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বাদী ও তার সিনিয়র খালিদ হাসান তাদের অফিস রুমে বসে ছিলেন। ওই সময় মাসুমের নেতৃত্বে ৯-১০ জনের একদল লোক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের অফিসে হামলা চালায়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। অসময় শহীদ আনোয়ার পাভেল বাধা দিলে তাকে মারপিট করে তারা। এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। তখন সিনিয়র আইনজীবী জিউস এগিয়ে আসলে তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাসুম ছুরি দিয়ে জখম করে। ওই সময় আইনজীবী সহকারী সুজিত চন্দ্র পাল ঠেকাতে গেলে তাকেও জখম করা হয়। আসামিরা তাদের চেম্বারের ড্রয়ারে থাকা এক লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনার সময় বাদী পক্ষের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মাসুম সহ অন্যরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় আইনজীবীরা শনিবার জরুরি সভা করে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সমিতির পক্ষ থেকে তারা শনিবার রেজুলেশন করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার ঘোষণা দিয়েছেন। সে মোতাবেক রোববার সকাল ১০ টায় আইনজীবী সমিতির এক নম্বর ভবনের সামনে তারা কর্মসূচি পালন করবেন। আসামিদের দ্রুত আটক না করলে আইনজীবী সমিতি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন কাজী ফরিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন আইনজীবীদের দেয়া অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।