এবার দিনাজপুরে বোরো সংগ্রহ অভিযানে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করলেও ধান সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
জেলা খাদ্য বিভাগ নির্ধারিত দীর্ঘ চার মাসের অভিযানে লক্ষ্যমাত্রার ১০৪ শতাংশ চাল সংগ্রহ করলেও ধান সংগ্রহ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৯৩ শতাংশ।
ধানের জেলা দিনাজপুরে গত কয়েক মৌসুম থেকে সরকারি খাদ্য সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানা গেছে। বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক আর ধান না দেওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পুরন হয়নি বলে জানায় খাদ্য অফিস।
জেলা খাদ্য অফিস জানায়, দিনাজপুর জেলায় সমাপ্ত বোরো মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ২৭টাকা কেজি দরে ২৪ হাজার ১৮২ টন ধান, মিল মালিকদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ৯১ হাজার ৮২ টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৯ টাকা কেজি দরে ৭ হাজার ৭ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এজন্য প্রায় ১হাজার ৫০০ মিল মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে জেলা খাদ্য বিভাগ। গত ২৮ এপ্রিল এই সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় এবং শেষ হয় গত ৩১ আগস্ট। এই সংগ্রহ অভিযানে জেলায় ধান সংগ্রহ করা হয় ২২ হাজার ১১২ টন। সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টন এবং আতপ চাল সংগ্রহ করা হয় ৬ হাজার ৫০০ টন।
জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হুসেন জানান, ইতঃপূর্বে আমরা বারবার দাবি জানিয়েছিলাম ধানের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চালের মূল্য নির্ধারণের। তা না করায় মিল মালিকরা ঠিকমতো চাল সরবরাহ করতে পারেনি। কিন্তু এবার বোরো সংগ্রহ অভিযানে কিছুটা হলেও ধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চালের মূল্য নির্ধারণ করে সরকার। এ কারণেই এবার চুক্তি অনুযায়ী মিল মালিকরা খাদ্য বিভাগে চাল সরবরাহ করতে পেরেছে। তাই এবার কৃষকরাও তাদের উৎপাদিত ধানের ভালো দাম পেয়ে লাভবান হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মিল মালিকরা এবার চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি চাল সংগ্রহ করা হয়েছে জেলায়।