ওপেন হার্ট সার্জারি শেষে কলারোয়ায় ফিরেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু। রোববার দুপুরে ঢাকা থেকে কলারোয়া পৌঁছান তিনি। সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রবেশদ্বার বাগুড়ি-বেলতলায় শতশত কর্মী সমর্থক ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মোটর সাইকেলে শোভাযাত্রা নিয়ে তাকে বরণ করেন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরেও বিপুল সংখ্যক সমর্থকদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু। এ ছাড়া তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরে আলম নাহিদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন নাহার আক্তার সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা। পরে সেখানে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়ায় মহান আল্লাহ্তায়ালা আমাকে আপনাদের মাঝে ফিরিয়ে দিয়েছেন। কলারোয়ার মানুষ যেন নিরাপদ ও শান্তিতে থাকতে পারে সেজন্য সচেষ্ট ছিলাম, থাকবো। আমি সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে আছি এবং থাকবো। উপজেলা যুবলীগ নেতা শেখ মারুফ আহম্মেদ জনির সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ.সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান স.ম মোরশেদ আলী, লাঙলঝাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক এম.এ কালাম, যুবলীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর শফিউল আলম শফি ও কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন। এ সময় নানান শ্রেণীপেশার মানুষ, বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মহান আল্লাহ্’র প্রতি শুকরিয়া জানিয়ে ও আমিনুল ইসলাম লাল্টুর পরিপূর্ণ সুস্থতা-দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা হাবিবুর রহমান। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলারোয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লে সাতক্ষীরায় চিকিৎসকদের পরামর্শে রাজধানী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লালটু। সেখানে গত ১৩ আগস্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার হার্টে পাঁচটি ব্লক ধরা পড়লে বাইপাস সার্জারি তথা ওপেন হার্ট সার্জারি করার সিদ্ধান্ত হয়। গত ২২ আগস্ট ইউনাইটেড হাসপাতালে প্রধান কার্ডিয়াক সার্জন ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ তার বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন করেন। গত ৩১ আগস্ট তিনি হাসপাতাল থেকে রিলিজ পান। এরপর কিছুটা সুস্থ হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর তিনি কলারোয়া ফিরলেন।