হবিগঞ্জের মাধবপুরে ইভটিজারের হাত থেকে কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে সোমবার দুপুরে আবদুল আওয়াল নামে এক বীরমুক্তিযোদ্ধা আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বখাটে হাসান আল মামুন (১৮) জনতার সহযোগিতায় গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের কাউসার মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-সোমবার দুপুরে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের শাহজালাল কলেজ পাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আওয়ালের কলেজ পড়-য়া মেয়ে মাধবপুর আসার জন্য বাসা থেকে বের হয়। মনতলা সরকারি শাহজালাল কলেজের সামনে আসামাত্র উপজেলার বহরা ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের কাউছার মিয়ার ছেলে মনতলা সরকারি শাহজালাল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র হাসান আল মামুনসহ ৪ যুবক ২টি মোটরসাইকেল দিয়ে কলেজ ছাত্রীর পথরোধ করে উত্ত্যক্ত করে অশ্লীল আচরণসহকারে জোর পূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।এসময় ছাত্রীর চিৎকার শুরু করলে পথচারীসহ তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা ঘটনাস্থলে গেলে বখাটেরা তার পিতাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। উপস্থিত জনতার সহয়তায় পালিয়ে যাওয়ার সময় ১টি মোটরসাইকেলসহ হাসান আল মামুনকে আটক করা হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী বলেন আহত মুক্তিযোদ্ধাকে হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে এবং মামুন নামে এক যুবকে আটক করা হয়েছে। থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।