ফরিদপুরে কতিপয় দুর্বৃত্তের ছুরির আঘাতে দুগ্ধ খামারী মো: মনির হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুত্বও আহত মনির বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন। মো: মনির হোসেন মেসার্স দেওয়ান ডেইরী ফার্ম এর স্বত্বাধিকারী। সে সদর উপজেলার বৈঠাখালী গ্রামের মৃত হায়দার আলী দেওয়ানের পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর শহরের আলীপুর বাদামতলী সড়কে।
আহত মনির হোসেন বলেন, আমার দুটি ছেলে। ছেলেদের পড়া-লেখার জন্য আলীপুর বাদামতলী সড়কের মাহমুদা হাউজের ৩য় তলায় ভাড়া থাকি। বড় ছেলে ফরিদপুর জেলা স্কুলে ও ছোট ছেলে সানরাইজে পড়ে। রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে আমার বাসার কলিং বেল বেজে উঠলে আমি দরজা খুলে রুবেল নামে এক জনকে দেখতে পাই। রুবেল আমার পূর্ব পরিচিত। রুবেল আমাকে বলে, নিচে আমার দুই মামা আসছে আপনার সাথে কথা বলবে দুধ নেওয়ার বিষয়ে। আমি প্রথমে নিচে নামতে চাইনি। রুবেলের অনুরোধে নিচে নেমে আসি। বাসার নিচে নামার সাথে সাথে দুই যুবক ও রুবেল মিলে এলাপাতাড়ি ভাবে খুর ও ছুরি দিয়ে আমাকে আঘাত করতে থাকে। ওদের খুর ও চাকুর আঘাতে আমার ঘাড়ের ২ পাশে, পাজড়ের বাম দিকে ও পেটে আঘাত করে। আমার চিৎকারে আশে পাশের মানুষ আসলে ওরা পালিয়ে যায়। পরে আমার স্ত্রী আমাকে প্রথমে ফরিদপুর সদর নিয়ে যায়। আমার অবস্থা খারাপ দেখে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। ঐ রাতেই আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধিন আছি।
আমার দুই ভাই ফরিদপুরের বাহিরে থাকায় এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারিনি। তবে রাতে অভিযোগ দেওয়া হবে। রুবেলকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আমার উপরে হামলার ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এদিকে দুগ্ধখামারী দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটেযান জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: নুরুল্লাহ্ মো: আহসান। তিনি আহত মনির হোসেনের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন এবং চিকিৎসকের সাথে কথা বলেন।