খুলনার পাইকগাছায় পাট চাষিরা পাটের ভালো দাম পাওয়ায় মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। পাটের আঁশ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত তারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাটের আঁশ ছাড়ানো ও শুকানোর কাজ করছে। কৃষকরা জলাশয়, ডোবা, নালায় পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন। সার, বীজ ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ কম ও অনুকূল আবহাওয়া থাকায় পাটের আঁশ ভালো হয়েছে। বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ায় পাচ্ছে। মৌসুমের শুরুতে পাট বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে প্রতি মন পাট তিন হাজার টাকা থেকে তিন হাজার দুশত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পাট ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েও পাট কেনা শুরু করেছে। তাই ভালো ফলন ও আশানুরূপ দাম পেয়ে গত বছরগুলোতে লোকসানে পড়া কৃষকদের মুখে সন্তুষ্টির হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। সোনালী আঁশের রঙে ভরে গেছে কৃষকের মন। উপজেলায় পাটের আবাদ হয়েছে ৪১০হেক্টর জমিতে। যা গত বছর ছিল ৩৮৫হেক্টর। উপকূলের লবণাক্ত পাইকগাছায় ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী ও পৌরসভার জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে দেশীয়, তোষা ও অন্যান্য জাতের পাট রয়েছে। উপজেলার গদাইপুর গ্রামের পাটচাষী কেসমত সরদার জানান, পাট ও পাটকাটির দাম বেশি হওয়ায় লাভ বেশী হবে। প্রতি বিঘা জমিতে চাষ, সেচ, রাসায়নিক সার প্রয়োগ, পাট কাটা, শুকানোসহ খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। এবার ফলন ভালো হওয়ায় বিঘা প্রতি ১০-১২ মণ পাট পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন। আর তাতে আর্থিকভাবে লাভোবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। পাটের দাম বেশি পাওয়ায় সোনালী আঁশের সুদিন ফিরে আসবে বলে মনে করেন স্থানীয় পাট চাষীরা। পাইকগাছা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, পাট চাষিরা গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি পাচ্ছেন। পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে পাটের সুদিন ধরে রাখা সম্ভব হবে।