যশোরের কেশবপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় পৌরসভার প্যানেল মেয়র মনোয়ার হোসেন মিন্টু স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বিশ্বাস শহিদুজামান।
লিখিত বক্তেব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেশবপুর উপজেলা শাখার বহিস্কৃত সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আবদুল আজিজ পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোটেশন করে টাকা উত্তোলন, করোনাকালিন বরাদ্দ সঠিকভাবে বন্টন না করা, হাটবাজারসহ অন্যান্য খাতের টাকা অনিয়ম, আর্থিক সাহায্য প্রদানের নামে আত্মসাত, এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম, ডিজিটাল স্কীন স্থাপণে অনিয়ম, কিশোর গ্যাং লালন পালন, মেয়রের ঢাকা গমন, পৌরসভায় জনবল নিয়োগ ও টিআর প্রকল্পে অনিয়মসহ ১১টি অভিযোগ এনে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছেন। এ বিষয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর পৌরসভার মাসিক সভায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই বাছাই করে দেখা গেছে তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা ভূয়া ও ভিত্তিহীন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, পিপিআর ২০০৬ ও ২০০৮ এর তফশীল-২ এর ৬৯ (১) এবং ৬ এর ক ও গ অনুযায়ী মেয়রকে কোটেশন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তারপরও তিনি নিয়মিতভাবে মাসিক মিটিং করেন এবং মিটিং এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোটেশনসহ অন্যান্য যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা করে থাকেন। তিনি আরও বলেন, এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ইজিপি পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্রহী ঠিকাদাররা দরপত্র দাখিল করেন। এরপর সিপিটিইউ কেন্দ্রীয়ভাবে লটারীর মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করেন। এখানে মেয়র বা কাউন্সিলরদের ঠিকাদার নিয়োগের কোন সুযোগ নেই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্বাস শহিদুজ্জামান বলেন, কেশবপুরে কিশোর গ্যাং বলে কিছুই নেই। মেয়র রফিকুল ইসলামের দায়িত্বকালে পৌরসভায় কোন স্থায়ী জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ ছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যের বরাদ্দকৃত টিআর পৌরসভায় দেয়া হয় না। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে পৌর এলাকায় ১২টি টিআর প্রকল্প গ্রহণ করেন। যার উন্নয়ন কাজ এখনও চলমান রয়েছে। যা তদারকি করেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলাা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর। এ প্রকল্পের সাথে মেয়রের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। যে কারণে খন্দকার আবদুল আজিজের বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান, জিএম কবীর হোসেন, আফজাল হোসেন বাবু, কামাল খান, আবদুল হালিম, খাদিজা খাতুন ও আসমা খাতুন।