মৌসুম শেষ হওয়ার এখনো ৪ মাস বাকি। অথচ অজ্ঞাত রোগে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাঠে চাষ হওয়া প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হয়েছে। অঙ্গাত রোগের কারণে পটল ক্ষে গুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা œ কীট নাশক ব্যবহার করেও পটলের গাছ বাঁচাতে পারছেনা। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও সঠিক করে বলতে পারছেনা কি রোগে ক্ষেত গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে আর্থিক ভাবে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, ফেব্রুয়ারী মাসের দিকে তারা পটলের চাষ শুরু করেন। এপ্রিল মাস থেকে ক্ষেতে পটল উঠা শুরু হয়। এক টানা ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাজার জাত করা যায়। এরপর পটলের মাচা ভেঙ্গে দিয়ে অন্য সবজির চাষ করেন। পটল চাষিরা জানায়, এক বিঘা জমিতে পটল চাষ করতে প্রায় ১১ হাজার টাকা ব্যায় হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁচড়া গ্রামের আতিয়ার রহমান জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে পটলের আবাদ করেছিলেন। এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ১ বিঘা জমিতে দেড় শত মন পটল বাজার জাত করা যায়। যা বাজারে বিক্রি করে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে পটল বাজার জাত শুরু হওয়ার প্রথম দিকে তার ক্ষেতে হঠাৎ করে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে পটলের গাছ পচন ধরে শুকিয়ে গেছে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই গাছ গুলো পচন ধরে শুকিয়ে গেছে। যে ক্ষেতে এ রোগ দেখা দিয়েছে ৪/৫ দিনের মধ্যে সে ক্ষেতের সমস্ত গাছগুলো মরে গেছে। উপজেলার আজমত নগর গ্রামের মোহাম্মদ আলী জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে পটল চাষ করেছিল। অজ্ঞাত রোগের কারণে আগাম ক্ষেত ভেঙ্গে ফেলতে হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করে রোগ সম্পর্কে সঠিক কোন ধারণা দিতে পারছেন না। ওষুধ ব্যবহার করেও কোন ফল হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে আলাপ করলে তিনি জানান,তারা ক্ষেতে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছেন। তাদের ধারণা অতি বর্ষনের কারণে এ রোগ হতে পারে। তা ছাড়া পটল রোপন করা হয় পুরানো পটল গাছের লতা। যা আমরা গেড় বলি। এই গেড় অনেক বছর থেকে চলে আসছে। ফলে এর কর্ম ক্ষমতা কমে গেছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখার দরকার।