গাজীপুরের টঙ্গী বড় দেওড়া ছয়তলা এলাকায় স্বামীর হাতে শাবনুর আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধু খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোররাতে রেজাউল কবিরের ছেলে রেজওয়ান কবির মনিরের বাড়িতে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামী আবদুস সাত্তার (৩০) ও তার মামাতো ভাই দুলালকে (২৮) গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। নিহত শাবনুর নওগাঁ জেলা সদরের চারিপাড়া গ্রামের জরিফ উদ্দিনের মেয়ে।
এলাকাবাসী জানায়, টঙ্গী বেপারিবাড়ি এলাকার এআরএস ওয়াশিং কারখানার শ্রমিক আবদুস সাত্তারের দ্বিতীয় স্ত্রী শাবনুর। গত ৩ সেপ্টেম্বর ছয়তলা এলাকার রেজওয়ান কবিরদের একটি বিল্ডিংয়ে সাবলেট হিসেবে ভাড়া বাসায় বসবাস করা শুরু করেন তিনি। ওই বাড়িতেই অপর একটি বিল্ডিংয়ের ৫তলায় মেস বাসায় থাকেন তার স্বামী আবদুস সাত্তার এবং সাত্তারের মামাতো ভাই দুলাল। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুলাল শাবনুরকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গেলে সে আর বাসায় ফেরেনি। একপর্যায়ে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শাবনুরের নিথর দেহ ওই বাসার পেছনের পরিত্যাক্ত জায়গায় পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের লোকজন টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার এবং নিহতের স্বামী আবদুস সাত্তার ও দুলালকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
বাড়ির ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করে জানান, একই মালিকের সাতটি বহুতল ভবন থাকা সত্ত্বেও এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেই। তাই মাদখোর, মাদক ব্যবসায়ীসহ অনেকের অবাধ বিচরণ রয়েছে এবাড়িতে।
এব্যাপারে বাড়ির মালিক রেজাউল কবিরের ছেলে রেজওয়ান কবির মনির বলেন, আমরা সপরিবারে উত্তরায় থাকি। বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে ৩জন গার্ড রয়েছে। বাড়িতে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা না থাকলেও দুই/তিন দিনের মধ্যে সিসি ক্যামেরার সংযোগ দেব।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।