কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা সহ ১১ ইউনিয়নে বিভিন্ন ইউনিয়নে ডব্লিউ এফসি পদ শূন্য, কোন কোন ইউনিয়নে ডব্লিউ এফসি পদ থাকলে ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-মেডিকেল কর্মকর্তা ফারজানা হক অধিকাংশ সময়ই নিজস্ব স্টেশনে থাকেন না বলে জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে করে পরিবার পরিকল্পনার কার্যক্রম প্রায়স্থবির হয়ে পরছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই কর্মকর্তা মাসের পর মাস স্টেশনে না থাকার কারণে কার্যক্রম যেন বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। জানা যায়, পরিবার পরিকল্পনার উপজেলা কর্মকর্তা ফারজানা হক বিভিন্ন জন্ম নিবন্ধন ভুয়া পদ্ধতি গ্রহণ কারী দেখিয়ে অর্থ লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অস্থায়ী পদ্ধতি একজন গ্রহীতার ক্ষেত্রে সরকারী ভাবে ব্যয় হয় ৪ হাজার টাকা কিন্তু বেসরকারী ক্লিনিক থেকে অথবা মহিলা যেসব সিজারিয়ান লাইগেশন করেন তাদের নিকট থেকে ভুয়া ছাড়পত্র সংগ্রহ করে সে গুলোকে ভুয়া ভাউচার বিলের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আসছেন বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এদিকে হুমাইপুর মা ও শিশু কেন্দ্রটিতে কোন কার্যক্রম নেই দীর্ঘদিন ধরে। অথচ বন্ধ থাকা মা ও শিশু কেন্দ্রটি চালু দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন বলে এলাকা বাসীর অভিযোগ। তিনি মাসে বাজিতপুরে ৩-৪ দিন উপস্থিত থাকেন। এই ব্যাপারে বিভাগীয় পরিচালক শরিফুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা অচিরেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিশোরগঞ্জ উপপরিচালক মোঃ খাইরুল আমিন বলেন বিষয়টি নিয়ে তিনি খুবই বিপদে আছেন। তবে কি করবেন এই বিষয়ে কিছুই বলেননি। বাজিতপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও মেডিকেল কর্মকর্তা ফারজানা হক বলেন, তিনি পারিবারিক ভাবে খুবই সমস্যার মধ্যে আছেন। তবে তিনি বলেন সপ্তাহে ১-২ দিন অফিস করেন বলে উল্লেখ করেন।