গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে বসতঘরে আগুন লেগে তিন পরিবারের ৮টি ঘরের যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন। ওই এলাকায় অপরিকল্পিত গ্রামীণ অপ্রসস্থ রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাতায়াতের কোনো সুবিধা নেই বলে এত বড় ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের সূর্যনারায়ণপুর গ্রামের কাওলার টেক এলাকার আবদুল বাতেনের বাড়িতে মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং ভাই শিহাবউদ্দিন ও গিয়াসউদ্দিনের বাড়িতে তা ছড়িয়ে পড়ে। কিছু বুঝে উঠার আগেই মূহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পাশাপাশি ঘরগুলোতে ছড়িয়ে যায়।
আব্দুল বাতেনের স্ত্রী মাকসুদা জানান, যখন আগুনের সূত্রপাত হয়, তখন তিনি দুপুরের খাবার খেয়ে ঘরেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে তিনি ঘরের কোণে বিদ্যুতের মিটারের কাছে একটি বিকট শব্দ শুনতে পান। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি তার ঘরের চালে আগুন দেখতে পান। ওই সময় বাড়িতে লোকজন না থাকায় এবং আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজন আসতে দেরি হওয়ায় মুহুর্তের মাঝেই এক সাথে লাগোয়া তিন পরিবারের মাটির ঘরের টিনের চালে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ওই বাড়ির ৮টি ঘরের টিনেরচালসহ আসবাবপত্র, ধান চাল, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও দলিলসহ জরুরি কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
প্রতিবেশি আশরাফুল জানান, আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবার তিনটির লোকজনের পরনের কাপড় ব্যতিত অন্য কোনো জিনিসপত্র রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবার তিনটির সদস্যদের খাবার ও থাকার ঘরের কোনো ব্যবস্থা নেই। রাস্তাঘাটের চরম সংকটের কারণে তাদের এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসারও কোনো সুযোগ নেই।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা : ইসমত আরা, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়া সিমিন হোসেন রিমি এমপি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ১০ বান্ডেল ঢেউ টিন ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন এবং সদর ইউপি চেয়ারম্যান ৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেছেন।