সিরাজদিখানে কৃষি প্রনোদনা ও পূনর্বাসন আওতায় বিতরণকৃত রোপা আমন ধানের বীজ ১০ কেজির ৮ বস্তা এবং ডিএপি ৬ বস্তা ও এমওপি ২ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার কোলা ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলী গ্রামের শেখ হারুন এর পরিত্যাক্ত আলুর গোলা থেকে এসব উদ্ধার করে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা। কোলা ইউনিয়নের (৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য সীমা বেগমের স্বামী রতন খান ২ মাস আগে এগুলো এ গোলায় এনে রেখেছেন। এ ব্যাপরে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়।
এলাকাবাসী ও অনেক কৃষক জানান, তারা সার ও বীজ পান না। বাইরে থেকে কিনেন বা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সংগ্রহ করেন। রতন খান তার ঘনিষ্টদের সার বীজ দেন, যারা আসল কৃষক তারা পান না। আবার যারা কিছু টাকা পয়সা তাকে দেয় তাদেরকে দেওয়া হয় সার ও বীজ। এ সার ও বীজ ১৬ জন কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত। এ বীজ ও সার রেখে নস্ট করছে রতন খান, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এর আগে বাদাম বীজ এনে একজনতেক দশ কেজি দিয়েছেন। তাকে বলেছেন বাদাম হলে সমপরিমান তাকে দিতে হবে। বাকি ৩ কেজি বাদাম তিনি ভেঁজে খেয়েছেন। এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কোন কোন কৃষক জানিয়েছেন পানিতে তলিয়ে ফসল নস্ট হবে তাই তারা বীজ ও সার নেননি।
রতন খান জানান, তিনি কোলা ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে কৃষকের জন্য বরাদ্দ এনেছেন, কিন্তু পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা এগুলো নেন নাই। তাই এখানে রেখেছেন। তিনি আরো জানান বিক্রি বা অন্য কোন উদ্দেশ্য তার ছিলো না।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহসিনা জাহান তোরন জানান, এগুলো কৃষি প্রনোদনার, গত ২ আড়াই মাস আগে করোনা প্রকোপ থাকায় উপজেলায় গেদারিং যাতে না হয়, সেজন্য ৫ জন করে কৃষককে গ্রুপিং করা হয়। সে গ্রুপের প্রতিনিধিবৃন্দ ও আমাদের কৃষি উপ-সহকারিদের উপস্থিতিতে উপকরণগুলো বিতরণ করা হয়েছে। উপসহকারিদের রিপোর্টে জেনেছি কৃষক ঠিকমত পেয়েছে এবং রোপন করেছে। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম পানির কারণে কৃষকরা বীজ লাগাননি। কারণ গতবছর তারা পানির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সে ভয় কাজ করছে। এখন আমরা এগুলো উদ্ধার করে অফিসে নিয়ে যাচ্ছি। তবে আজকের এ বিষয়ে একক ভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিব না। উপজেলা সার ও বীজ কমিটির সাথে মিটিং করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।