বরিশালের আগৈলঝাড়ায় হরিণের মাংস ও চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক আলোশিখা রাজিহার সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালকে ২ মাসের কারাদ- ৫০ হাজার টাকা এ ছাড়া দুজনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। কারাদন্ডপ্রাপ্ত এনজিও পরিচালককে বুধবার সন্ধ্যায় বরিশাল জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাংস বিনষ্টকরা ও চামড়া ৬টি বনকর্মকর্তা জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার গ্রামের বে-সরকারি সংস্থা আলোশিখা রাজিহার সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মৃত.স্যমুয়েল হালদারের ছেলে জেমস্ মৃদুল হালদার তার নিজের হরিণের খামার থেকে সরকারি অনুমতি ছাড়া হরিণ জবাই করে মাংস বিক্রির সময় আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ এসআই আলী হোসেন ঘটনাস্থলে ৩৬ কেজি মাংস ও ৬টি হরিণের চামড়া আটক করে। এ সময় খামারের মালিক আলোশিখা রাজিহার সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক জেমস্ মৃদুল হালদার, তার কর্মচারী ডাসার থানার নবগ্রামের মৃত.অজিত সরকারের ছেলে বিপ্লব সরকার, উপজেলার আহুতি বাটরা গ্রামের রাম চন্দ্র হালদারের ছেলে সুনীল হালদার ও একই গ্রামের মৃত.চৈতন্য সরকারের ছেলে খোকন সরকারকে আটক করা হয়।
বুধবার দুপুরে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবুল হাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আলোশিখা রাজিহার সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের জনগনের উপস্থিতে
বনসংরক্ষন ও নিরাপত্তা আইন ২০১২এর ৬(১), ১০ধারা লংক্ষন করায় এবং ৩৯ ধারায় এনজিও’র পরিচালক জেমস্ মৃদুল হালদারকে ২মাসের বিনাশ্রম কারাদ- ও ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া সুনীল হালদার ও খোকন সরকারকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। বিপ্লব সরকার নিরদোশ হওয়াতে তাকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন, আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা বন কর্মকর্তা মনিন্দ্র নাথ হালদার ও এসআই আলী হোসেন। পরে হরিনের মাংস বিনষ্ট ও চামড়া ৬টি বনকর্মকর্তা জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।