কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে তফসিল ঘোষনার পরেই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ইতোমধ্যে দলীয় প্রার্থী হওয়ার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের আট জন নেতাকর্মী কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে আবেদন করেছেন। তবে কে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পাচ্ছেন এই নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বুধবার সকালে এই আবেদন গুলো দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
দলীয় মনোনয়ন চাওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কে এম ফরিদ হাসান, বাগেরহাট জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফি জেমস, বাগেরহাট জেলা পরিষদের সদস্য যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান ঝুমুর, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার, কচুয়া উপজেলা পরিষদের প্রায়ত চেয়ারম্যান এস.এম মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী রাড়িপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নওরেশুজ্জামান লালন, গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এস এম নাছির উদ্দিন।
এদের মধ্যে প্রত্যেকেই মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। মনোনয়ন চাওয়া নেতাদের অনুসারীরাও নিজের নেতার মনোনয়ন নিশ্চিত হয়েছে বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রার্থীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্তই মেনে নেবেন তারা।
এদিকে এই নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপির কোন প্রার্থী অংশগ্রহণ করবে না। তবে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও প্রার্থী দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে সতন্ত্র প্রার্থী কেউ নির্বাচন করবেন কিনা এসব বিষয়ও এখনও স্পষ্ট বুঝতে পারছেন না স্থানীয়রা। এজন্য অপেক্ষা করতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত মনোনয়ন পত্র জমা দানের শেষ দিন ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার শেষ সময় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের আটজন প্রার্থী আবেদন করেছেন। আমরা তাদের আবেদনগুলো বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিয়েছি। কেন্দ্রীয় কমিটিই সিদ্ধান্ত দিবেন এখানে দলীয় প্রার্থী কে হবেন। যে দলীয় মনোনয়ন পাবে, উপজেলা আওয়ামী লীগ তার পক্ষে কাজ করবে।