কেরাম বোর্ড একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় খেলা। ছাত্র, তরুন আর যুবকরাই অবসরে তাদের প্রিয় খেলা কেরাম বোর্ড খেলে সময় কাটায়। ইদানিং সেই সৌখিন আর ভদ্র কেরাম বোর্ড খেলায় ভয়াবহ জুয়াতে পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে উঠতি বয়সের যুবকরা লেখাপড়া ছেড়ে গভীর রাত পর্যন্ত কেরাম বোর্ড খেলছে। এরা শুধু কেরাম বোর্ড খেলে ক্ষান্ত হচ্ছে না। খেলার পাশাপাশি কেরাম খেলাকে জুয়াতে পরিনত করছে। হাজার হাজার টাকা বাজি ধরে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে।
বগুড়ার সদরের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, রাস্তার মোড়ে, চায়ের দোকানগুলিতে ২০ / ২৫ টি স্পটে কেরাম বোর্ড এর খুপরি রয়েছে। এই কেরাম বোর্ড, খেলার অন্তরালে নিয়মিত বসছে জুয়ার আসর। আর এসব জুয়ার আসরে থাকছে স্কুল - কলেজের ছাত্র সহ যুবসমাজ। এই কেরাম খেলায় মগ্ন হয়ে শিক্ষিত যুবকরা সর্বস্ব খুইয়ে চলছে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই কেরাম বোর্ড খেলার আসর সন্ধ্যার পর পড়ার টেবিলে না বসে কেরাম বোর্ড খেলার আসক্তি টা অনেক বেশি।
উক্ত এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহল্লার এইসব চায়ের দোকান রাস্তার মোড়ে বিকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কেরাম খেলা। হৈ হুল্লোড়ে আমাদের রাতে ঘুম সহ বিভিন্ন কাজের বিঘœ হয়। আমরা ভয়ে নিষেধ করতে পারিনা কারন ওরা সবাই দলবেঁধে থাকে কিছু করতে গেলে তারা অস্বাভাবিক আচরণ করে। তাই আমরা এলাকাবাসী ও সচেতন মহল কেরাম বোর্ডের অন্তরালে জুয়ার আসর বন্ধ করা, এলাকার উঠতি বয়সী যুবসমাজ যাতে ধ্বংসের পথে পা বাড়াতে না পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে যুবসমাজকে জুয়ার আগ্রাসন থেকে রক্ষা এলাকার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের অতিদ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা জন্য দ্রুত দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন অভিভাবকমহল।
এই বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কেরাম বোর্ড খেলার অন্তরালে জুয়া খেলা বিষয়ে আমি অবগত নয়। তবে এই বিষয়ে অভিযোগ পাইলে অবশ্যই আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।