১২সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার খবরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো শ্রেণিকক্ষ পাঠদানের উপযোগী করতে পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়। তবে এ প্রস্তুতি কোথাও কোথাও ধীর গতিতে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী কিছুদিন ধরেই করোনা সংক্রমণের হার বেশ কমে এসেছে এবং ধারাবাহিক ভাবেই এ হার নিম্নমুখী থাকার পাশাপাশি, ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর প্রেক্ষাপটে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। জানা যায়, রাণীশংকৈলে কিছু বিদ্যালয় ইতোমধ্যে শ্রেণিকক্ষ ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। আবার কিছু বিদ্যালয়ে এখনো নোংরা অবস্থায় পড়ে আছে। উপজেলার মিরডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষ পানি দিয়ে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। বেঞ্চগুলো শিক্ষার্থীদের বসার উপযোগী করে সাজানো হয়েছে। পরিষ্কার করা হয়েছে পুরো ভবনসহ ওয়াসব্লক। মীরডাঙ্গী স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারজানা আক্তারী বলেছেন-সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুলকে প্রস্তুত করতে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পুরো বিদ্যালয়ই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেছি সকলেই মিলে। শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ থেকে শুরু করে টয়লেটসহ সব কিছু ক্লিন করা হচ্ছে। তাদেরকে বিভিন্ন কক্ষে দূরত্ব বজায় রেখে বসার পরিবেশ করে প্রতিদিন ৫ম শ্রেণির সাথে একটি ভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসবে। এভাবে পাঠদান করবো।
চেংমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়- প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম তার সহকারিদের নিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ দ্রুতগতিতে চালিয়ে যাচ্ছেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব রাহিম উদ্দিন জানায়- উপজেলায় ১৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মেনে ১২সেপ্টেম্বর সকল বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করতে যাবতীয় প্রস্তুতি ১০সেপ্টেম্বরের আগেই সম্পন্ন হবে। উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্জর আলম বলেন বিদ্যালয়ের সার্বিক প্রস্তুতি দেখতে পরিদর্শন চলছে, এ সময় উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ঘনেস্বাম ও সিমান্ত বসাক বলেন- বিদ্যালয়গুলোতে পরিদর্শন কালে দেখা প্রধান শিক্ষক নিজই সহকারিদের সাথে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন কাজে সহায়তা করছেন আন্তরিক ভাবে।