দেবীগঞ্জে সার পাচারের অভিযোগে ১২০ বস্তা সার আটক করা হয়েছে । এর মধ্যে এমওপি সার ৯৫ বস্তা ও টিএসপি সার ২৫ বস্তা ছিল। এই ঘটনায় দেবীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও দেবীগঞ্জ থানা থেকে জানাযায়, গত০৮-০৯-২১ইং (মঙ্গলবার) তারিখ আনুমানিক রাত একটায় উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বালাপাড়া বাজার নামক স্থানে দুইটি নছিমনে সার পরিবহনকালে স্থানীয়রা নছিমন দুইটি আটক করে দেবীগঞ্জ থানায় খবর দেয়। পরে দায়িত্বরত পুলিশের টহল দল সারসহ নছিমন দুইটি আটক করে চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষণ করেন। পরে বুধবার রাতে দেবীগঞ্জ থানায় নছিমনসহ সারের বস্তা নিয়ে আসা হয়।
বালাপাড়া বাজার এলাকার স্থানীয়রা জানায়, সারের বস্তা গুলো পাচারের উদ্দেশ্যে পরিবহন করা হচ্ছিল। গভীর রাতে সার পরিবহনের কারণে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে নছিমন চালকদের প্রশ্ন করলে তারা জানান একই ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ বাজারের বিএডিসি অনুমোদিত ডিলার রহমান বীজ ভান্ডার থেকে সার আনা হয়েছে। এবং সেগুলো পার্শ্ববর্তী ডোমার উপজেলার গোমনাতি নামক স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
যদিও রহমান বীজ ভান্ডারের সত্ত্বাধিকারী মোঃ রোকনুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বালাপাড়া বাজারে খুচরা সার বিক্রেতার নিকট সার পাঠানো হয়েছিল কিন্তু জনগণের তোপের মুখে নছিমন চালকরা ভয়ে বলে ফেলেছিল সার গোমনাতি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চালকদের বাড়ি গোমনাতিতে বলে জানান রোকনুজ্জামান।
ভাউলাগঞ্জ থেকে মাত্র ৮ কি.মি. দূরে অবস্থিত বালাপাড়া বাজারে এতরাতে কেন সার নিয়ে আসা হয়েছিল প্রশ্নে তিনি জানান, বিকেলেই সার পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পথিমধ্যে একটি নছিমন খারাপ হওয়ায় তা ঠিক করতে দেরী হয়ে যায়।
সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা ২০০৯ অনুযায়ী এক উপজেলার জন্য বরাদ্দ সার অন্য উপজেলায় বিক্রি করা যাবে না।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জামাল হোসেন জানান, সার আটক করা হয়েছে এবং মামলা হয়েছে।