খুলনার পাইকগাছায় করোনার কারণে স্থগিত হওয়া ইউপি নির্বাচন হবে ২০ সেপ্টেম্বর। ঘোষণার পরই প্রার্থীরা আবারো ভোট প্রার্থনা করছেন। উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নে মধ্যে ৯টিতেই বেশ জোরেশোরেই বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ভোটের মাঠে প্রার্থীরা সরব। উপজেলার হরিঢালী ইউপি করোনায় একজন প্রার্থী মারা যান। সে কারণে এখানে নতুন তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে বলে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন। উপজেলার ১০টি ইউপির ৯টিতে ৪০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থীরা প্রচারে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ছুটে চলেছে ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি সভা-সমাবেশসহ কুশল বিনিময় করছেন। খোঁজখবর নিচ্ছেন ভোটারদের। শুধু প্রার্থীরাই নয়, কাজ করছেন তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও। ভোটের আগেই মাঠের লড়াই শুরু হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কমাল উদ্দিন জানান, উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৯৭৪। তার মধ্যে ১ নম্বর হরিঢালী ইউপি করোনার কারণে চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার গোলাম মোস্তফা মারা যান। সে কারণে ইউনিয়নটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এ কারণে হরিঢালী ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে না।। ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রসহ অন্যান্য দলের চেয়ারম্যান পদে প্রচার-প্রচারণায় রয়েছে কপিলমুনি ৬ জন, লতা ৩, দেলুটি ৩, সোলাদানা ৪, লস্কর ৪, গদাইপুর ৫, রাড়-লি ৩, চাঁদখালী ৬ ও গড়-ইখালী ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। সোলাদানা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক বলেন, ‘প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে। কিন্তু আমার ইউনিয়নে ঝুঁকি রয়েছে।’ একই কথা বলেছেন রাড়ুলী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ গোলদার, গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস ও গদাইপুরের চেয়ারম্যান জুনায়েদুর রহমান। তাঁরা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আমরা। উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা কামাল আহম্মদ জানান, নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। সিনিয়র সহকরী পুলিশ সুপার খুলনা ডি সার্কেল মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পাইকগাছা-কয়রা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শতভাগ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। যদি কেউ নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচনে কোনো প্রকার বিমৃঙ্খলা ও কারচুপি হতে দেওয়া হবে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।