কালীগঞ্জে এই প্রথম চাষ হয়েছে ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ। উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুু ৬ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। এখানকার মাটিতে বিদেশী জাতের আখ চাষের শতভাগ উপযোগী বলে দাবি করেন। খয়েরি রংয়ের ফিলিপাইনের আখ ১৮ থেকে ২০ ফুট লম্বা হয়। সারিবদ্ধ ভাবে সোজা দাঁড়িয়ে আছে নুইয়ে পড়া ঠেকাতে প্রত্যেক সারির মাঝে মাঝে বাঁশের শক্ত খুঁটিতে মোটা জি-আই তারে বাধা। তিনি ২০১৯ সালে চুয়াডাঙ্গার জেলার তিন্নাতপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ক্ষেত থেকে প্রতি পিচ চারা ১০০ টাকা দরে ২০ হাজার টাকার ক্রয় করেন। ২০২০ সালে চারা গুলো বৃদ্ধি করতে মাত্র ৩ শতকের বীজতলায় স্বল্প পরিসরে চাষ করেন। সে বছর একটি আখ থেকে ২০/২৫ টি চারা গজায়। চলতি বছরের প্রথম দিকে ৬বিঘা জমিতে বানিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করেছেন।
অপু চেয়ারম্যান বলেন,তিনি ইউটিউব দেখে এই আখের জাত সম্পর্কে জেনে চাষে ঝুকে পড়েন। সার, সেচ,জি আই তারসহ যাবতীয় খরচ বাবদ ৬০ হাজার টাকা ব্যায় হয়েছে। অপু বলেন প্রতি বিঘা থেকে প্রায় লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার আখ বিক্রি করা সম্ভব। প্রতিটি আখ ৭০ থেকে ৮০ টাকা পাইকারী বিক্রি করতে পারবেন। আগামী বছর তিনি আর ও ১৫ বিঘা জমিতে এ আখ চাষ করবেন বলে জানান।
দেখতে কালো খয়েরি। দেশীয় আখের মতো হলেও রয়েছে বেশকিছু ভিন্নতা। এ আখের চাষ লাভজনক,নরম, রস বেশি, মিষ্টি বেশি, চাষের পর লাভ বেশি। এসব কথা ভেবেই ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ ‘ব্ল্যাক সুগার কেইন’ চাষ করেছেন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু। এ আখ পরিপক্ক হতে ১০ থেকে ১১ মাস সময় লাগে। গোড়া থেকে পুরো কান্ডই মোটা ও নরম। আঙুলে একটু চাপ দিলে রস পাওয়া যায়। রস যেমন রয়েছে, তেমনি মিষ্টিও বেশি। তিনি জৈবসার দিয়ে আখটি চাষ করেছেন। লালচে বা কালো খয়েরি বা কালো রঙের আখটি চাষের পর বিভিন্ন গ্রামের চাষীরা দেখতে ভিড় করছেন। বিভিন্ন নার্সারি মালিক ও কৃষিভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আখক্ষেত পরিদর্শন করে বীজ কেনার জন্য ধরনা দিচ্ছেন। এলাকার অনেকেই ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ চাষের কৌশল ও বীজ নেয়ার জন্য বায়না দিয়েছেন। অক্টোবর মাস থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া গেলেও আখটি সারা বছরই চাষ করা যায়। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা শিকদার মোহম্মদ মেহায়মেন আক্তার বলেন, রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর গ্যান্ডারী আখ ক্ষেত দেখেছেন রোপনের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন।