আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আরার গ্রামে বংশ পরম্পরায় ভোগদখলীয় বসতভিটা জবর দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও ফয়সালা না মেনে উল্টো বাদী পক্ষকে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ছহিল উদ্দিন মালীর পুত্র হাবিবুর রহমান মালী বাদী হয়ে থানায় মাসুম মালী, মোজাম মালী, সবুর মালী ও হেরাত মালীকে বিবাদী করে দায়েরকৃত অভিযোগে প্রকাশ, বিবাদরী দুর্দান্ত, দুর্ধর্ষ ও পর সম্পদ লোভি প্রকৃতির। আরার মৌজায় ৪১২ খং, ২২৫ দাগে ১০ শতক জমি তাদের ভোগদখলীয় পৈত্রিক ভিটাবাড়ি। বিবাদীরা ঐ জমি জবর দখলের জন্য দীর্ঘদিন হতে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এনিয়ে সালিশ মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও তারা মানেনা। গত ১১/৮/২১ তাং সকাল ১০ টার দিকে বিবাদীরা বাদীর ভিটেবাড়ি জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে নেট দিয়ে ঘিরতে থাকে। বাধা দিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও গলা ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তার স্ত্রী এগিয়ে গেলে তাকেও হুমকী প্রদর্শন করা হয়। বাধ্য হয়ে হাবিবুর বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ইতিপূর্বে রফিকুলের স্ত্রী, বোনদের ও স্বামীদের জড়িয়ে লজ্জাবতী রাজকন্যা নামে অজ্ঞাতনামা ফেসবুক আইডিতে অশালীন কথাবার্তা পোষ্ট করে তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হলে রফিকুল বাদী হয়ে থানায় ৩/৩/২১ তাং ১০২ নং জিডি করেন।
এতকিছুর পরও প্রতিপক্ষ জালাল উদ্দীন মালি ও হাবিবুর রহমানসহ ৯ জনকে আসামি করে বিজ্ঞ দ্রুত বিচার আদালত সাতক্ষীরায় মামলা রুজু করেছেন। আরজিতে বাদীপক্ষের স্বত্ব দখলীয় জমিতে যেতে বাধা, জমির নেট ও বাঁশ কেটে অনুপ্রবেশ করার হুমকী দেওয়াসহ নানা অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে অসহায় হাবিবুর দিং চরম নিরাপত্তাহীনতা ও জমির দখলচ্যুতির শঙ্কায় দিনাতিপাত করছেন বলে জানান। হাবিবুর দিং আরও অভিযোগ করেন, তাদের নামে এসএ ২২৫ দাগে ও চলমান জরিপে ১৭০ দাগে ১০ শতক জমি প্রিন্টপর্চা হলেও প্রতিপক্ষ তাদেরকে শান্তিতে বসবাসে বিঘœতার সৃষ্টি করে আসছে। ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও আইন আদালতের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এব্যাপারে দ্রুত বিচার আদালতে দায়েরকৃত মামলার বাদী এম এ মোশারাফের সাথে মোবাইলে (মামলার আরজিতে জমির তফশীল নেইসহ) তার বক্তব্য জানতে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি তো এখন বাইরে কাগজপত্র না দেখে কিছুই বলতে পারবো না। মামলার স্বাক্ষী মাসুম্মেল হক জানান, বিবাদীরা আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। মামলাটি সাজিয়েছেন আইনজীবিরা, তারাই ভাল বলতে পারবেন জমির তফশীলের কথা।