শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর ভাংগনের কবলে পরে সহায় সম্বল হারিয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে অনেকেই। বিলিন হওয়ার আংশকায় আছে অসংখ্য বাড়ীঘর ও আবাদি জমি। এবস্থায় স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলি।
নালিতাবাড়ী পৌর শহর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম খালভাংগা। পুরো গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে ভোগাই নদী। প্রতিবছরই নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়তে হয় এই গ্রামবাসীদের। খালভাঙ্গা মসজিদ থেকে হাজী আবদুল মান্নান এর বাড়ী পর্যন্ত আধা কিলোমিটার এলাকায় প্রতি বছরই ভাংগনে স্বীকার হচ্ছে।
এমনই এক ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হেলাল মিয় দু:খ প্রকাশ করে বলেন, গত কয়েক বছরে আমাদের বাড়ীর প্রায় দুই একর বাড়ি-ভিটার জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। এবারের ভাঙ্গনেও বাড়ীর অনেক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় প্রতি বছরই নদী ভাংগনের পর মাটি বা বালু দিয়ে ভাংগন মেরামত করা হয়। বর্ষা আসলে পানির চাপে আবার ভেংগে যায়। ফলে আমরা ক্ষতি গ্রস্তের মধ্যে পড়ে থাকছি প্রতি বছর।
এলাকার বয়োজষ্ঠ হাজী আঃ মান্নান জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ৫০টির মত পরিবার ভোগাই নদী ভাংগনের কবলে পরে সহায় সম্বল হারিয়ে অন্যত্র পারি জমিয়েছে। এবার সরকারের নিকট জোর দাবী মাটি বা বালু দিয়ে নয় স্থায়ী বাঁধ নির্মান করা দরকার।
নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডে জানানো হয়েছে। ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের শেরপুর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান বলেন, ভোগাই নদীর বাঁধ নির্মানে ইতিমধ্যেই কারিগরি কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটির সদস্যগন কয়েক দিনের মধ্যেই ভোগাই নদীর ভাংগন এলাকা পরিদর্শন করে আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।