রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কাজ চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়ার ৯ মাস পার হলেও ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কবে নাগাদ শেষ হবে কাজ ? তাও নিশ্চিত করে বলেতে পারছেন না তারা। নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার কারণ হিসেবে ঠিকাদারের গাফিলতিকেই দায়ি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে সরকারি বিপুল পরিমান অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় সুফলভোগীরা। উল্লেখ্য,চতরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২২ শতক জমির উপরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ৩ তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। রংপুরের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পীরগঞ্জ এর আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন এর দায়িত্ব পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হোসাইন কন্সট্রাকশন। বিগত ২০১৯ ইং সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাসে কার্যাদেশ দেয়া হলেও আজ অবধি নির্মান কাজ শেষ করতে পেেরনি। চুক্তিপত্র অনুযায়ী ৪ কোটি ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬ শত ৭১ টাকা ব্যয়ে ২০ সালের ২২ ডিসেম্বরে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল। নির্ধারিত সময় পার হলেও নির্মান কাজ শেষ হয়নি। ফলে চতরা ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওই এলাকার মানুষজন তাই চিকিৎসার জন্য ছুটছেন ১৪ কিমিঃ দূরে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সে। এলাকাবাসী জানান,গত ৩ মাস থেকে মা ও শিশু হাসপাতালের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও চতরা ব্যবসায়ীদের থেকে মালামাল বাকি নিয়ে ওই ভবনের নির্মাণ কাজ করা হলেও দীর্ঘদিনেও তা পরিশোধ করা হয়নি। চতরা ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন আমাদের ইউনিয়নের ১০ শয্যা মা ও শিশু হাসপাতালটির কাজ শেষ হলে জনগণের অনেক সুবিধা হবে,হয়রানি কমে যাবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে ইউনিয়নের মানুষ ১৪ কিলোমিটার পথ মাড়িয়ে উপজেলা সদরে যেতে হচ্ছে। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে রংপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী এরশাদুল হক বলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ যাবৎ একাধিক বিল উত্তোলন করেছে, ফান্ডের সমস্যা হওয়ার কারণে নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অবশ্য আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকী কাজ অবশ্যই শেষ করতে হবে।